স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ফোনে প্রাক্তন ছাত্রীদের এডিট করা নগ্ন ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠল বারাসতে। অভিযোগ বারাসতে মেয়েদের খ্যতনামা স্কুল কালীকৃষ্ণ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্তের ফোনে বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকটি অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়। সঙ্গে হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করা হয় প্রধান শিক্ষিকার কাছে। টাকা না দিলে ছবিগুলি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়ে পাঠানো হয় মেসেজ। ঘটনায় আতঙ্কিত প্রধান শিক্ষিকা✤। সঙ্♈গে সঙ্গে বারাসত থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
আরও পড়ুন - রাজভবনের সামনে 💃শ𝔉ুভেন্দুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন বিশ বাঁও জলে
পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যম🅘ন্ত্রীর,ღ শহরের বুকে বৈঠক হবে?
মৌসুমীদেবী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তখন তিনি স্কুলেই ছিলেন। তাঁর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে পর পর কয়েকটি মেসেজ আসে। তাতে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রীর এডিট করা নগ্ন ছবি দেখতে পান♓ তিনি। এর পর হুমকি দিয়ে লেখা হয়, দাবি মতো টাকা না দিলে এই ছবিগুলি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। তিনি জানান, পরে তিনি দেখেন, যে নম্বর থেকে মেসেজগুলি পাঠানো হয়েছে সেটি পাকিস্তানের।
তিনি বলেন, ‘যারা এই কাজ করেছেন তাঁরা স্থানীয়। নইলে প্রত্যেক ছাত্রীকে চিহ্নিত করা 💛সম্ভব নয়। সম্ভবত ভুয়ো সিম ব্যবহার করে মেসেজ পাঠানোܫ হয়েছে। কে বা কারা স্কুলের বদনাম করার চেষ্টা করছেন বুঝতে পারছি না।’
আরও পড়ুন - নির্ব🍸াচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
বলে রাখি, গত মার্চে এই কালীকৃষ্ণ গার্লস স্কুলের তরফে জারি এক নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয়, কোনও ছাত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলে তাকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্রুপে মেসেজ করে প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমীদেবী লিখেছিলেন, ‘Instagram, Facebook, Twitter এই সমস্ত জায়গায় যদি কোনও মেয়েকে দেখা যায়, তাদেরকে স্কুলে রাখা হবে না। তারা বাড়ি বসে শুধু ওই করুক, পড়াশোনা করার দরকার নেই। Twitter-কে এখন বোধহয় এক্স হ্যান্ডেল বলে। যাইহোক, কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ থাকবে না। কোনও মেয়ে না। মা, বাবারা নিজেদের ফোন আপনার মেয়ের ভালোর জন্য মেয়েকে দেবেন না। যাদের অ্যাকাউন্ট আছে ডিলিট করো। নইলে ক্যারেক্টর সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হতে পারে। মেয়েরা দেখাল, তোমাদের অনেকের অ্যাকাউন্ট আছে। ডিলিট করো। ডিলিট করেছ, স্ক্রিন শট পাঠাওꦛ।’