ফের কুমিরের আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর মসজিদবাটি এলাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই গ্রামের একটি পুকুরে থেকে উদ্ধার হয়েছিল দৈত্যাকার কুমির। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল কুম𒐪িরের ১৭ টি ডিম। সেই ঘটনায় গ্রামবাসীদের আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ফ൩ের গ্রামের একই পুকুরে দেখা গেল বিশালাকার একটি কুমির। সোমবার গ্রামের ওই পুকুর পাড়ে কুমিরকে দেখে আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায় গ্রামবাসীদের। খবর পেয়ে বড় কর্মীরা সেখানে পৌঁছে কুমিরটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: জল থেকে ডাঙায় উঠে এল কুমির, আতঙ্কে বাসন্তীর গ্রামবাসীরা, ১৭ꩵটি ডিম উদ্ধার করল বন দফতর
জানা যাচ্ছে, আজ সোমবার স্থানীয় বাসিন🌠্দা অসিত মণ্ডলের পুকুর পাড়ে প্রথমে একজন স্থানীয় বিশালাকার একটি প্রাণীকে শুয়ে থাকতে দেখেন। কিছুটা কাছে যেতেই প্রাণীটিকে দেখে ভয়ে শিউরে ওঠেন তিনি। আসলে ওই প্রাণীটি আর কিছু নয়, সেটি হল আস্ত একটি দৈত্যাকার কুমিরটি। সেই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এরপরেই বন দফতরকে ফোন করে বিষয়টি জানান গ্রামবাসীরা। একই গ্রামে এক সপ্তাহের মাথায় দু দুবার কুমির দেখতে পাওয়ায় যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়েছেন এলাকাবাসীরা।
কꦆুমির দেখতে এদিন পুকুরের চারপাশে ভিড় করেন আশেপাশের এলাকার বহু মানুষ।💞 স্থানীয় এক মহিলা জানান, তিনি এক ঘণ্টা ধরে পুকুর পাড়ে রয়েছেন। একই জায়গায় তখন থেকেই শুয়ে রয়েছে কুমিরটি। তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে যে কুমিরটিকে ধরা হয়েছিল সেটি একই জায়গাতে ছিল।
মুর্শিদ মোল্লা নামে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘এর আগে এই পুকুরেই কুমির দেখা গিয়েছিল। তখন বন দফতরের কর্মীরা এসে কুমির উদ্ধার করে নিয়েগিয়েছিল। এবারও একইভাবে সেই পুকুরের পাড়েই কুমির দেখতে পেয়ে আশেপাশের এলাকার বহু মানুষ ভিড় করেন। পুকুরের আশেপাশে মানুষের ভিড়ে কার্যত দাঁড়ানো জায়গা ছিল না।’ তাঁর দাবি, এই পুকুরে কমপক্ষে তিনটি কুমির রয়েছে। পুকুরের মাছ সব খেয়ে ফেলছে।। আর স্থানীয়রাও ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই বাড💖়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বাসন্তীর মসᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚজিদবাটি গ্রামে কুমিরে🍌র সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর ডিম। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ডিম পাড়তে মিষ্টি জলের প্রয়োজন হয়। আর সেটার খোঁজেই কুমিরটি গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। দু’ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরকে ধরে ফেলেছিলেন বনকর্মীরা। এভাবে বার বার গ্রামে কুমির ঢুকে পড়ায় পুকুরের আশেপাশে যেতেই ভয় পাচ্ছেন অনেকে। এমনকী আতঙ্কে রাতে অনেকেই বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন না।