সম্প্রতি দুজন সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধৃতদের নাম আব্দুল রকিব সরকার ওরফে হবিবুল্লা ওরফে হারিফ এবং আহসান উল্লাহ ওরফে হাসান। রকিবকে গ্রেফতার করেই অপরজনের সন্ধান মেলে। একজনের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরে। অপরজন হুগলির আরামবাগে থাকত। তবে ছেলের গ্রেফতারিতে হতবাক রকিবের বাবা রফিউদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা হতবাক। মানতে পারছি না। আমার ছেলে নম্র, ভদ্র। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে। আমরা আইনি লড়াইয়ের পথে যাব।’ জানা গিয়েছে ছোট বয়সে গ্রাম ছেড়ে লখনউতে গিয়ে এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছিল রকিব। আব্দুর রাকিব সরকারের নামে গঙ্গারামপুর থানায় অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ২টি মামলা র🉐য়েছে।
এদিকে আহসানউল্লার পরিবারের 🌜দাবি, তাঁরা জানতেন যে কলকাতায় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনাবেচার কাজ করত সে। ছেলের জঙ্গি যোগের কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ধৃতের ಌমা ফরিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘শুনলাম। কিছু বুঝতে পারছি না। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছে। এর সঙ্গে জড়িত বলে মনে হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে স্বস্তির খবর, বাংলার একাধিক জেলায় সস্তা হল পেট্রল-ডিজ💮েল, জানুন🔜 রেট
এদিকে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনকে জেরা করে আরও ১৭ জনের নাম মিলেছে। এদের কাজের ধরণ খতিয়ে দেখছেন এসটিএফ আধিকারিকরা। বাংলায় নাশকতার কোনও ছক কষেছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে গোপনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংগঠনের জঙ্গি ভাবধারাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত তারা। এই আবহে তাদের সঙ্গে পাক যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের ন🍰ির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, কীভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা যুব সমাজের মধ্যে বিষ ছড়াচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।