পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কলেজের এℱক শিক্ষক এবং এক শিক্ষিকার হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আক্রান্ত দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম হল- অর্পণ দাস এবং চন্দ্রাণী দাস। আক্রান্ত শিক্ষিকাকে আহত অবস্থায় হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। দুজনকে আলাদা আলাদা✅ভাবে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও কী কারণে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে? বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের চড়ের জের, ২ কানে শুনতে🌺 পাচ্ছে না ছাত্র, অভিযোগ প♛রিবারের
জানা গিয়েছে, কাটোয়া কলেজের বিএড বিভাগের শিক্ষক অর্পণ বাবু। অভিযোগ, কলেজ ছুটির পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তখন কাটোয়া স্টেশন রোডের কাছে টোটো থেকে নামতেই ৬-৭ জন দুস্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয়ে হামলা চালায়। ঘটনার জেরে আতঙ্কে রয়েছে♔ন ওই শিক্ষক। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে, হামলার ঘটনা ঘটে শিক্ষিকা চন্দ্রাণীর উপর। তিনি কাটোয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা। কাটোয়া শ꧙হরে তাঁর বাড়ি। অভিযোগ, রোজকার মতো কলেজ ছুটির পর তিনি নিজের স্কুটিতে উঠেছিলেন। কিন্তু, স্কুটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় একটি গ্💎যারাজে যান। সেখানে ৫০-৪০ জন মহিলা তাঁকে ঘিরে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর অভিযুক্তরা চন্দ্রাণীকে রাস্তায় ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় শিক্ষিকাকে কাটোয়া মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যদিও কেন তাঁর উপরে হামলা সে বিষয়টি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না শিক্ষিকা। তবে তিন🅺ি অভিযোগ করেছেন, চার বছর আগে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। সে মামলা এখনও আদালতে চলছে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তবে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হুমকি দেওয়ার বিষয়টিও তিনি মানতে নারাজ। পাল্টা তিনি দাবি করেছেন, কলেজে কিছু ছাত্র-ছাত্রী চন্দ্রাণী সহ আরও কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন।
এদিনের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার ঘটনার নিন্দা করেন। তবে কলেজের মধ্যে ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান, কাটোয়া শহরে বহু সিসিটিভি রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সিসিটিভি খতিয়ে দেখলে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা যাবে। &nb🅺sp;পুলিশ সিসিটিভি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।