নিরাপত্তা সহ ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন আন্দোলন চলছে। এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছিল। তার ওপর সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার পেনডাউন কর্মসূচি পালন করছে ‘ফেমা’ নামে সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন। সেই আবহে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিষেবা না🌱 পেয়ে ক্ষেপে উঠল রোগী পরিবার। বিক্ষোভ করার পাশাপাশি হাসপাতালে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় মহিলা সহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রতীকဣী অনশন♛ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের জুনিয়ররা, দাবি না মানলে আমরণ অনশন
মঙ্গলবার হাসপাতালে এসেও চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে রোগী এবং তাদের পরিজনেদের। তাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রোগꦅীর আত্মীয়রা। এই ঘটনায় এদি🀅ন তারা হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিকের ঘরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। শেষে হাতাহাতিতে হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা। এমনকী হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ ওঠে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের একাংশের বিরুদ্ধে।
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, বারবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসার পর⭕েও দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা মিলছে না। বারবার এই বিষয়ে জানানো সত্বেও কোনও পদক্ষেপ করছে না কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে একাধিক বিভাগে কোনও ধরনেরꦓ চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। এছাড়াও মিলছে না ন্যায্য মূল্যের ওষুধ। যা নিয়ে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। রোগী সহ রেগীর আত্মীয়রা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা সহ ওষুধ নিতে গেলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ডাক্তার ওষুধ লিখে দিলে ওষুধ পাওয়া যায় না হাসপাতাল থেকে।
এদিন এই সমস্ত বিষয়ে সুপার সঞ্জয় মল্লিকের ঘরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জমা দিতে যান রোগী পরিবারদের একাংশ। কিন্তু, অভিযোগ জমা নেননি সুপার। সেই কারণেই তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে অভি🐲যোগ।
আরও অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়রা একাধিক সামগ্রীতে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন রোগীর পরিবারের একাংশ। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় উত্তরবঙ্গ মেডিক🐻্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ফাঁড়ির পুলিশ। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় আটক করা হয় একাধিক বিক্ষোভকারীকে। তবে এই ঘটনার পর ফের হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এ বিষয়ে সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, এর আগেও একাধিক হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা দেখতে হয়েছেম আরও কত দেখতে হবে ঠিক নেই। নিরাপত্তাহীনতার বিষয় তো রয়েছেই। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য সরকারকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দেন।