সরকারের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় করা নামে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি রাইস মিলের মালিকদের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা হয়েছে, অথচ, সেই অনুপাতে চাল দেওয়া হয়নি। আর তাতেই বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। একই সঙ্গে এই ঘটনায় তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলি൲শ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা এলাক👍ার বাঁকে বিহারী রাইস মিলের মালিকদের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: 🍎রেশনে বাংলার কৃষকদের উৎপাদিত চাল দিতে আরও ধান কি🦋নছে রাজ্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বের অংশীদারীদের সই জালিয়াতি করে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। এই মিলের মালিকানায় আগে ছিলেন কিরণ দেবী আগরওয়াল, সঙ্গীতা আগরওয়াল এবং শীতল মোদী। ২০১৬ সালে কিরণ দেবী এবং সংগীতা আগরওয়াল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিলের অংশীদারী ছেড়ে দেন। শীতল মোদীর স্বামী অজয় মোদী এবং দেওর বিজয় মোদী ওরফে বাবলু মোদী এই মিল দেখভাল করতেন। তারাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সরকারি ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে তারা ৪ কোটি🏅 টাকার ধান কেনেন। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী সেই অনুপাতে তারা রাজ্য সরকারকে চাল দেননি। তার পরিবর্তে সেই চাল তারা বাইরে বিক্রি করে দিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে এই বিষয়টি সামনে আসে। সেই সময় কিরণ দেবী আগরওয়াল অভিযোগ করেন, সরকারের কাছ থেকে ধান কেনার ক্ষেত্রে তাঁদের সই জালিয়াতি করা হয়েছে। খাদ্য দফতরের কাছেও এই নিয়ে তিনি অভিযোগ জানান। যদিও দফতরের তরফে সেই সময় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সই জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে বিজয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শীতল মোদী, তাঁর স্বামী এবং দেওরের নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ধান কিনে চাল না দিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রতারণা এবং সই জালিয়াতির অভিযোগ।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মিল সিল করে দেওয়া হয়েছে রাইস মিল। এছাড়াও মিলের বাইরে নোটিশ টাঙি⛄য়েছে ব্যাঙ্ক। অভিযোগ উঠেছে, মিল দেখিয়ে ৪ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক থেকে। ঋণ আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ না হলে মিল নিলামে উঠবে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা স্থানীয় থানাকে তৃণমূলের পার্টি অফিস বলে কটাক্ষ করেছে। তাদের অভিযোগ, এই দুর্নীতির পিছনে তৃণমূল নেতাদের মদত এবং যোগ রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। যদিও তৃণমূলের পালটা সাফাই, আইন আইনের পথে চলছে।