মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাইরের রাজ্য থেকে না এনে রাজ্যে൲ উৎপাদিত চালই গণবণ্টন ব্যবস্থায় দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে নিয়মিত ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে চাষিদের কাছ থেকে ৫২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য।
এক প্🍬রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরও পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন ধান চাষীদের থেকে কেনা হবে। বুধবার বিধানসভায় কৃষিক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ এবং কৃষক൩দের ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয় তৃণমূলেরর পক্ষ থেকে। সেই প্রস্তাবের উপর জবাবি ভাষণ দেন পঞ্চায়তে মন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে ১২ বছরে ধান থেকে ভুট্টা, আলু সব বিভাগের চাষেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে।
বিধানসভায় মন্ত্রী প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, '২০১১ সাল পর্যন্ত উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি না হওয়ার ফলে রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী রেশনের দেওয়া জন্য চাল র𒐪াজ্যের চাষীদের থেকেই সংগ্রহের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনেই কৃষকদের থেকে ধান কেনাতে জোর দেওয়া হয়।'
পঞ্চায়েত মন্ত্রী দাবি করেন,ভুট্টা ও আলু চাষেও উল্লেখযোগ্য সাফল্যে মিলেছে। ২০১১ সালে রাজ্যে ৩.৫২ লক্ষ টন ভুট্টা উৎপন্ন হত। গত বছর উৎপাদন হয়েছে ২৫.২৫ লক্ষ টন ভুট্টা। চলতি ব▨ছর এই উৎপাদনের পরিমাণ ২৮ লক্ষ টন ছাড়িয়ে যাবে তাঁর আশা।
(পড়তে পারেন। 'ভুল তথ্য দিচ্ছেন কেন?' ব♕িজেপি বিধায়ক দিন্দার বিরুদ্ধেꦬ তদন্ত চাইলেন অরূপ)
পঞ্চায়েতমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এক সময় এই সব জমিতে ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখা যেত না। রাজ্য সরকারের দেখানো পথে ভুট্টা চাষ করে সেখ⛎ানে ধানে🌞র থেকে কয়েক গুণ বেশি লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। আলু চাষে সাফল্যও এদিন বিধানসভায় তুলে ধরেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী।
মঙ্গলবারই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব🍸্য়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ফসলের দাম পচ্ছেন না কৃষকেরা। দালাল ফড়েদের হাতে চলে যাচ্ছে কৃষকের উৎপাদিত ফসল। তারই প্রেক্ষিতেই কি বিধানসভায় কৃষিক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ এবং কৃষকদের ভূমিক🐻াকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন শাসকদলের? সেই প্রশ্ন উঠছে।