একটি জলাশয় থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে 🅰মাছ লুটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়া থানা এলাকায়। সেখানকার বিধায়ক সমর মুখোপಞাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: বন্ধুরা মাছ খাওয়াতে বলেছিলেন, রাজি না 🦋হওয়ায় সেই বন্ধুদের⛄ হাতেই 'খুন' হলেন যুবক!
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় যে জলাশয়টি আছে তার নাম রাঙামাটিয়া জলাশয়। সেখানে সমবায় সমিতির তরফে মাছ চাষ করা হয়। সেখান থে﷽কেই মৎস্যজীবীদের নিয়ে মাছ লুটের পাশাপাশি সমবায় সমিতির একটি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বাজিতপুর কলোনি মৎস্যজীবী কোঅꦦপারেটিভ সোসাইটির তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
জানা যাচ্ছে, রাঙ্গামাটিয়া জলাশয়টি ৮৯ একর জমি জুড়ে রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগে এই জলাশয় লিজ পেয়েছিল বাজিতপুর কলোনি মৎস্যজীবী কোঅপারেটিভ সোসাইটি। যার মেয়াদ শেষ হওꦰয়ার কথা ২০৩১ সালের মে মাসে। এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয় সমবায় সমিতিকে। সেখানে মাছ চাষ করা হয়। দেখাশোনার জন্য সেখানে একটি ঘর রয়েছে। অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে বিধায়কের নেতৃত্বে একদল মৎসজীবী হামলা চালায়।
হামলায় সেখানে থাকা সমিতির ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়। আরও অভিযোগ বিধায়কের নেতৃত্বে মৎস্যজীবীরা জাল দিয়ে জলাশয়ের মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়। কার্যত লুটপাট করে তারা। সোসাইটির ম্যানেজার🍌 উজ্জ্বলকুমার দাস জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশেই তারা জলাশয়টি লিজে নিয়েছেন। তারপরেও এদিন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
মারধরের ভয়ে সমবায় সমিতির অন্যান্য সদস্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় বিধায়কের বিরুদ্ধে মাছ লুটপাট এবং ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে সমবায় সমিতির তরফে জানানো হয়েছে। তবে বিধায়ক সমস্ত ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি যে বাজিতপুর ফিশারম্যান সোসাইটি মৎস্যজীবীদের পেটে লাথি মারছে। সমবায় সমিতির তরফে মাছ গুন্ডাদের বিক্রি করা হচ্ছে। যার ফলে হাজার হাজার মৎস্যজীবীরা ঠিকমতো ব্যবসায় লাভ করতে পারছেন না। তারা কার্যত না খেতে পেয়ে মরছেন। সেখানে মৎস্যজীবীরা যাতে চাষ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এমন অভিযোগ সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। তিনি জানান, জলাশয় নিয়ে সমস্যা অনেকদিনের। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বಌৃহস্পতিবার মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে।ꩲ তারপরেও এমন ঘটনায় মালদার মৎস্য দফতরকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।