কংগ্রেস–তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রতুয়া–১ ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রাম। আজ, বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজি, গোলাগুলিতে কার্যত রণক্ষেত্꧃রের চেহারা নিল মালদার রতুয়া–১ নম্বর ব্লকের ভাদো অঞ্চলের রামপুর এলাকা। উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকার বাতাবরণ। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস দু’পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়। যার জেরে দু’পক্ষই একে–অপরকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, গোলাগুলি এবং ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় ব⛎লেও অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছে বলে খবর। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় রতুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে।
এই আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাঁদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে রতুয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী রামপুর এলাকায় ছুটে আসে। প্রথমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরে শুরু করে ধরপাকড় করার অভিযান। সেই অভিযানে দু’পক্ষের দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর। এখন এলাকার পরিস্থিতি রয়েছে যথেষ্টই থমথমে। তাই এলা🐬কায় মোতায়েন রয়েছে রতুয়া থানার𝓡 পুলিশ বাহিনী। চলছে পুলিশের কড়া টহলদারি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রামপুরে জয়ী হয় কংগ্রেস। তখন কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে ফটিকুল হক নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ল্যান্ডফলের আগেই ৬৫ জন অন্তঃসত্ত্বাকে সরাল প্রশাসন, সুন্দরবনে বিশেষ উদ্যোগ
এদিকে ওই ঘটনায় দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ওই মামলার এখন অনেকেই জামিন পেয়ে গ্রামে ফিরে এসেছেন। তারপর থেকে আবার শুরু হয়েছে দু’পক্ষের বিবাদ। যা আজ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজকের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ২১ জন কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নাইম শেখ বলেন, ‘আজ কংগ্রেসের সাদিকুল আমাকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। আমাকে বাঁচাতে কাকারা বেরিয়ে এলে ওরা কাকাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে, গুলি চালায়। কাকা𒊎 আর কাকাতো ভাইয়ের গুলি লেগেছে। সাদিকুলের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে।’
অন্যদিকে সামনে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। ১৩ নভেম্বর তা হবে। তার আগে এমন সংঘর্ষ একেবারে বেমানান বলে মনে করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে কংগ্রেস–তৃণমূল। মেঘালয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল। সেখানে বাংলায় এমন সংঘর্ষ বিজেপিকে অক্সিজেন দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস কর্মী সাবিনা খাতুনের অভিযোগ, ‘আজ আমার দেওর পাট বিক্রি করতে যাচ্ছিল। তখন তৃণমূলের মোস্তাফা আর মালেক তাঁর সামনে বোমা 🔥ফাটায়। ভয়ে দেওর বাড়ি ফিরে এলে ওরা ইট মেরে আমাদের꧋ বাড়ি ভাঙচুরও করে। গ্রামে পুলিশ এসেছে। সব দেখুক তারা।’