সারারাত জেগে এলাকায় টহল দিয়ে বেড়ায় কুকুর। যার ফলে দুষ্কৃতীরা কিছুতেই এলাকায় ঢুকতে পারছিল না। রাতে কোনও অপরিচিত লোক দেখলেই তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওই সমস্ত কুকুর। আর সেটাই মাথা ব্যথার কারণ হয়েছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। চুরি-ডাকাতি সহ বিভিন্নরকম দুষ্কৃতীমূলক কাজে দুষ্কৃতীদের কাছে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই কুকুরের দল।তাই পথের কাঁটা কুকুরগুলোকে শেষ করতে খাবারে বিষ মেশাল দুষ্কৃতীরা। তাদের দেওয়া খাবার খেয়ে মৃত্যু হল চারটি কুকুরের। এমনই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৎসঙ্গ পাড়া এবং অরবিন্দপল্লীর বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই, কুকুর খুনের ঘটনায় ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কুকুরের পাশাপাশি ১০টিরও বেশি পাখি মারা গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়ার ফলে কুকুরগুলি মারা গিয়েছে।স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, এলাকায় প্রায় ১৫টিরও বেশি কুকুর ছিল। এই কুকুরগুলির কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদে রাতে ঘুমাতে পারেন। তারা রাতে প্রহরীর মতো কাজ করতো। দুষ্কৃতীদের সমাজ বিরোধী কাজে সমস্যা তৈরি করেছিল এই কুকুরগুলি। সেই কারণেই সমস্ত কুকুরকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের দাবি, খাবারে যে বিষ মেশানো হয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে। খাবার থেকে বিষাক্ত কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই স্থানীয় পশুপ্রেমীরা ধুপগুড়ি থানায় অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে ।