বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা﷽য় তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। কিন্তু সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। একসপ্তাহের জন্য মামলাটির শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারেই রযেছেন অনুব্রত।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে সিবিআই। তাই তারা আবেদন করেছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যায় সিবিআই। আজ, সোমবার বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১৮ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ܫআর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীবকুমার দাঁ জানান, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই মামলাটি কিছু দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি করেন। সেই আর্জি মেনে মামলাটি আগামী সপ্তাহে রাখা হয়েছেꦡ।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়ꦬ অনুব্রত মণ্ডলকে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তখন হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। পরে গ্রেফতারের আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যান। আদালত তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে অনুব্রতকে বꦆলে নির্দেশ দেয়। আর সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না বলেও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর༺্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন করে সিবিআই। সেখানে বলা হয়, অনুব্রতের রক্ষাকবচ আগাম জামিনের সমান। তাই রক্ষাকবচ খারিজ করার🌠 আর্জি জানান।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে গরু পাচার মামলায় একই আবেদন করেন। যদিও তাতে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি। তার পরেই বীরভূমের এই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এখন তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। সেখান থেকে নিজেদের হেফাজ🧸তে নিতে চাইছেন সিবিআই অফিসাররা। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও পদক্ষেপ শুরু করেছে সিবিআই।