๊ তিনি জেলে আছেন। কিন্তু এখনও তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। লোকে কেষ্ট বলে চেনে। হ্যাঁ, তিনি অনুব্রত মণ্ডল। যাঁকে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বলে দাবি করে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। শনিবার তাঁকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। এই সওয়াল–জবাব পর্ব শেষে সেখানে উপস্থিত জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা–কর্মীকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নির্দেশ দিতে দেখা গেল কেষ্টকে। দলে যে গ্রুপবাজি চলবে না সেটা তিনি তাঁদের জানিয়ে দেন। একইসঙ্গে ছেঁটে ফেলার হুঙ্কার ছেড়ে তিনি জানান, চিরদিন জেলে থাকবেন না।
▨ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কী বললেন কেষ্ট? এদিন এজলাস থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। নেতা–কর্মীদের বার্তা দিয়ে তিনি হঙ্কার ছাড়েন, ‘আমি সব খবর রাখছি। দলের মধ্যে গ্রুপবাজি বরদাস্ত করব না। মনে রেখো, আমি কিন্তু চিরকাল জেলে থাকব না। যারা দলের মধ্যে গ্রুপবাজি করছে বেরিয়েই সব কটা’কে ছেঁটে দেব। পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনেই। এখন থেকেই ভোটের কাজে নেমে পড়ো। সবাই এক হয়ে কাজ করবে।’
ঠিক কী দেখা গেল আদালত চত্বরে? অনুব্রত মণ্ডল যখন এই হুঙ্কার ছাড়ছেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের নলহাটির বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং, দলের জেলা সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় এবং দলীয় নেতা–কর্মীরা।ꦍ মা কামাক্ষ্যার প্রসাদী ফুল মাথায় ঠেকিয়েই অনুব্রত মণ্ডল হুঙ্কার ছাড়েন। কেষ্ট বরাবরই শক্তি মায়ের পুজারি। দুর্গা, কালী, কামাক্ষ্যা তাঁর আরাধ্যা। তাঁর মঙ্গলকামনায় রাজ্যের বিভিন্ন শাক্ত–সাধন ক্ষেত্রে পুজো দিয়ে চলেছেন অনুগামীরা। তাঁদেরই একজন সম্প্রতি অসমে গিয়েছিলেন।♌ দাদার যাবতীয় সঙ্কট মোচনে মা কামাক্ষ্যার কাছে পুজো দিয়েছিলেন তিনি। শনিবার এজলাসে এসে পুজোর প্রসাদ, ফুল–বেলপাতা দাদার হাতে তুলে দেন সেই অনুগামী। তাতেই খুশি অনুব্রত। ফুল মাথায় ঠেকিয়ে চেনা মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। রাজনীতির ময়দানে যেটা তাঁর ‘ব্র্যান্ড ইক্যুয়িটি’।