শিয়ালদা বা হাওড়া স্টেশন নয়। এবার বিশ্বমানের স্টেশনের তালিকায় সংযোজন হতে চলেছে 𒐪আসানসোল। রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই স্টেশনকেই বিশ্বমানের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দꦆফায় দফায় আলোচনা করার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলের কর্তারা। ইতিমধ্যেই রেল বোর্ডের অনুমোদনও চলে এসেছে। আসানসোল স্টেশনের ভোল বদলাতে কাজ শুরু হবে নীল নকশা তৈরি হওয়ার পরেই। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বিশ্বমানের স্টেশন তৈরির কাজ।
১৮৮৫ সালে তৈরি হওয়া আসানসোল রেল স্টেশনটি রাজ্যের অ✃ন্যতম একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ফলে স্টেশনের হেরিটেজ বিল্ডিংকে বাঁচিয়ে রেখেই এই স্টেশনে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। সারাদেশে ২৫০ টি বিশ্বম🍒ানের স্টেশন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে বিশ্বমানের স্টেশন করে তোলার জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল রেল স্টেশনের ডিআরএম প্রেমানন্দ শর্মা।
বিশ্বমানের রেল স্টেশন হওয়ার জন্য কি কি থাকা প্রয়োজন তা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখছেন আসানসোল ডিভিশনে অতিরিক্ত ডিভিশনাল ম্যানেজার মুকেশ কুমার মিনা। রাজ্যে কোনও বিশ্বমানের স্টেশন নেই। তাই গত সোমবার মুকেশ কুমার মিনার নেতৃত্বে একটি দল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে অবস্থিত হাবিবগঞ্জ স্টেশন পরিদর্শন করেছেন। তার তার ভিত্তিতে 🍬আসানসোল স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন করার জন্য একটি নীল নকশা তৈরি করবে ওই দল। তারপরে শুরু হয়ে যাবে কাজ। মনে করা হচ্ছে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যেই এনিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
তবে হাওড়া এবং শিয়ালদার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন থাকায় সে ক্ষেত্রে আসানসোলকে কেন বিশ্বমানের স্টেশন করে তোলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিদিন অসংখ্য দূরপাল্লার যাত্রী এই স্টেশনে ওঠানামা করেন। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আসানসোল স্টেশনে দূরপাল্লার যাত্রী ওঠা নামার সংখ্যাটা কোনও অংশেই শিয়ালদা বা হাওড়া স্টেশনের চেয়ে কম নয়। সেই কারনে সিদ্ধান🦹্ত নেওয়া হয়েছে।