দু’দিন আগে আসানসোলের হোটেল ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। এবার শ্যুটারের স্কেচ তৈরি করা হল। আর সেই স্কেচ পাঠানো হল বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড পুলিশের কাছে। এমনকী বাংলার প্রত্যেকটি থানাতেও সেই স্কেচ পাঠিয়েছে আসানসোল–দ⛦ুর্গাপুর পুলিশ কম✨িশনারেট। আর শ্যুটারকে ধরতে পারলেই মূল চক্রীর নাম সামনে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ। আটঘাট বেঁধেই এই অপারেশন চালিয়েছিল। তাই তাদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশনও ট্রেস করা যাচ্ছে না।
ঠিক কী বলছে পুলিশ? এই শুটআউটের ঘটনা নিয়ে পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলকান্তম বলেন, ‘আততায়ীর স্কেচ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। একাধিক 🌺টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রান্তে তদন্ত করছে। আততায়ীদের কোন🍷ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায়নি।’ গত শুক্রবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার ভগৎ সিং মোড়ের কাছে বিলাসবহুল হোটেলে ঢুকে হোটেল মালিককে ঠান্ডা মাথায় খুন করে দুষ্কৃতীরা। গুলি করে মারা হয়। তারপর মুহূর্তে চম্পট। এলাকার রাস্তাঘাট হাতের তালুর মতো চেনা না থাকলে এভাবে চম্পট দেওয়া সম্ভব নয়। গুলি যেভাবে ব্যবসায়ীর দেহ ভেদ করেছে তাতে ভিন রাজ্যের প্রশিক্ষিত শার্প শ্যুটার এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ মনে করছে। তাই সিআইডির আঁকা স্কেচ ঝাড়খণ্ড থেকে গোবলয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক ১২ বছর আগে যখন রামলক্ষ্মণ যাদব খুন হন তখন উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রথম গ্রেফতার হয় শার্প শ্যুটাররা। তাদের জেরা করেই যোগ মিলেছিল রাম🍸লক্ষ্মণবাবুর ছায়াসঙ্গী ধনঞ্জয়কুমার সিং ওরফে ডিকের নাম। ওই খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিল সে। এবারও পুলিশ সেই পথেই এগতে ꦉচাইছে। পরিবারের লোকজনের তেমন কোনও সহযোগিতা তদন্তে মিলছে না। আর ব্যবসায়ীর কোথায় কোথায় সম্পত্তিজনিত বিবাদ চলছে সেদিকেও নজর রাখছে পুলিশ।
নেপথ্যে কী অন্য কিছু আছে? এখন এই ঘটনার রহস্যভেদ করতে খোদ অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছ থেকেও ব্যবসায়ীর জমি সংক্রান্ত খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। আর অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) সন্দীপ টুডু বলꦏেন, ‘পুলিশ আমাদের কাছে অরবিন্দ ভগতে🦂র জমি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। তবে ব্যবসায়ীর নাম ধরে সার্চ করলে তাঁর তথ্য সামনে আসে না। জমির দাগ নম্বর ধরে খুঁজতে হয়। সেই কাজই করা হয়েছে।’