আউশগ্রামে বহুরূপীর বেশে এসে একজন কিশোরী, একজন যুবতী এবং একজন গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বোলপুরের ওই বাসিন্দাকে এলাকায় আটকে রেখে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে আউশগ্রাম থানার পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার। শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বহুরূপীর বেশে নাবালিকার শ্লীলতাহানি করার ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। এমনকী ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানꦅীয় গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শুক্রবার তারকা র𓃲াক্ষসী সেজে ওই ব্যক্তি গ্রামে আসে। তারপর এলাকাবাসীদের থেকে সাহায্য চাইতে থাকে। সেই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। আর এই কাজ করার অছিলায় নানা বাড়িতে উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে। তখনই ফাঁকা এলাকায় এক বধূকে জড়িয়ে ধরে সে। তারপর বুঝতে পারেনি বলে এড়িয়ে যায়। এরপর এক কিশোরী যখন যাচ্ছিলেন দোকানে তখন তাঁর ওড়না ধরে টানে বহুরূপী। কিশোরী ফিরে তাকালে ওই ব্যক্তি বলে সাহায্য চাইতেই এমন করেছে সে। সাতসকাল থেকে এইসব ঘটনা করে যাচ্ছিল সে বলে অভ⛄িযোগ।
আরও পড়ুন: শহরের কোথায় ধরনা করা যাবে? রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ কলকাতা হাইকোর্টের
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম লাল্টু মাল (৪৫)। বাড়ি বীরভূম জেলার বোলপুর এলাকায়। সেখান থেকে সে আউশগ্রামে আসে। বহুরূপী সেজে কুকীর্তি করতে শুরু করে। গ্রামের ওই পাড়ার বাসিন্দারা কৃষিকাজের জন্য তখন মাঠে গিয়েছিলেন। এমন সময় এক নাবালিকা পুকুরে স্নান করছিল। ওখানে গিয়ে নাবালিকারনাম জিজ্ঞাসা করে। তারপর তার পিছু পিছু বাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে জল খেতে চায়। আর বাড়ি ফাঁকা দেখে নাবালিকাকে জড়িয়ে ধরে বলে অভিযোগ। তখন নাবালিকার চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। আর গ্রামবাসীরা পুলিশ ডেকে হাতে🦹 তুলে দিলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।