🐓পরিস্থিতি এককথায় ভয়াবহ। ব্যান্ডেল-মগরা থার্ড লাইনের কাজ ও ব্যান্ডেলে ইন্টারলকিংয়ের জেরে ২৭মে থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে ব্যান্ডেল স্টেশন। আর তার জেরে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। কোনও যাত্রী বালি থেকে মগরা যেতে চাইলে তাঁকে প্রথমে চুঁচুড়া পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। এরপর চুঁচুড়াতে নামার পরই চড়া ভাড়া হাঁকছেন অটো চালকরা। চুঁচুড়া থেকে মগরা পর্যন্ত অটো ভাড়া লাগছে ৫০ টাকা। অন্যদিকে কেউ কালনা যেতে চাইলে তাঁকে ত্রিবেণী স্টেশন যেতে হচ্ছে। অনেকেই রুট ঠিকঠাক না চেনেন না। তাঁরা আরও সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। অটো ও টোটো চালকরাও ইচ্ছা মতো ভাড়া চাইছেন বলে যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ।
এদিকে ๊এসবের মধ্যেই ত্রিবেণী- কাটোয়া পাঁচ জোড়া ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় রবিবার। নবদ্বীপে ফুট ওভারব্রিজের কাজের জন্য এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়। এদিকে এদিন বহু যাত্রী অটোতে, টোটোতে চেপে ট্রেন ধরার জন্য ত্রিবেণীতে আসেন। কিন্তু সেখানে এসে তাঁরা জানতে পারেন ত্রিবেণী থেকেও একাধিক ট্রেন বাতিল। মহম্মদ সাদ্দাম নামে এক যাত্রী বলেন, তারকেশ্বর থেকে কাটোয়া যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলাম🦂। শেওড়াফুলি থেকে চুঁচুড়া এসে সেখান থেকে অটোতে ত্রিবেণী স্টেশনে এলাম। ৫০ টাকা অটো ভাড়া নিল। এদিকে ত্রিবেণীতে এসে শুনলাম কাটোয়া যাওয়ার ট্রেন বাতিল। এভাবে আর পারছি না।
𒅌যাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রচন্ড গরমে, ভিড়ে ট্রেনের মধ্যে মারপিট লেগে যাচ্ছে। কেন লকডাউনের সময় এই সব মেরামতির কাজ হল না? কেন এভাবে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হচ্ছে যাত্রীদের। এভাবে মোটা টাকা অটো ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকী চুঁচুড়া থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত আসার জন্য সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ভাড়া বেড়ে ১০০-১৫০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। আর ত্রিবেণী আসার পরে যাত্রীরা শোনেন সেখানেও ট্রেন বাতিল। এবার তাঁরা যাবেন কীভাবে?