সুতপা চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের কথা সবই জানতেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে এমনই দাবি করলেন আততায়ী সুশান্ত চৌধুরী। এমনই খবর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সূত্রে। সুশান্তকে জেরা করে নৃশংস এই খুনের ভিতরের সম্পর্কের জটিলতা বোঝার চেষ্টা করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তখনই একথা বলেন সুশান্ত।গত সোমবার সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে বহরমপুরের গোরাবাজারে খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। কয়েকঘণ্টার মধ্যে সুশান্ত চৌধুরী নামে আততায়ীকে সাগরদিঘি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তার পরই পরতে পরতে উঠে আসে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা ২ যুবক – যুবতীর সম্পর্কের জটিলতার কাহিনী।প্রেম তো কোটি কোটি ভাঙে, কিন্তু কেন সুতপার ওপর এমন প্রাণঘাতী আক্রোশ জন্মাল সুশান্তর। শান্ত মেধাবী ছাত্র সুশান্ত কেন হয়ে উঠলেন কৈশোরের সঙ্গী, যৌবনের প্রেয়সীর খুনি? জেরা করে তা বোঝার চেষ্টা করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তখনই তাঁকে বলা হয়, সুতপার বাবা বলেছেন, ‘আপনি ওকে লাগাতার বিরক্ত করতেন।’ এই কথা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুশান্ত। বলেন, ন্যাকামি হচ্ছে? আমার সঙ্গে ওর সম্পর্কের কথা ওর বাড়ির সবাই জানত। আমার ওদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ওর সঙ্গে নিয়মিত কথাও হত।একই কথা জানিয়েছেন সুশান্তর পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের দাবি, সুশান্তকে দিনের পর দিন ব্যবহার করেছেন সুতপা। এর পর তাঁর হাত ছেড়ে দিয়েছেন। তবে সেজন্য সুতপাকে সে খুন করে ফেলবে একথা মানতে পারছে না কেউ।