শিলিগুড়িতে দুই অবাঙালি ছাত্রকে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাংলা পক্ষের দুই নেতারই জামিন মিলেছে। রজত ভট্টাচার্য ও গিরিধারী রায়ের জামিন মিলেছে। বাংলা পক্ষের সহযোগী একাধিক গ্রুপের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবি করা হয়েছে। সোশ্য়♚াল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, শিলিগুড়িতে গ্রেফতার হওয়া বীর বাঙালি রজত ভট্টাচার্য ও গিরিধারী রায় বীরের মতো বেরিয়েছে। দুজনেরই জামিন হয়ে গেছে। জাল ডোমিসাইল চক্র আমরা ধ্বংস করবই। কোনও বহিরাগত ক্রিমিনালকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা নষ্ট করতে দেব না। লড়াই আরও জোরদার হবে।
সেই�� সঙ্গেই গলায় মালা পরিহিত তাদের ছবিও সোস্য়াল মিডিয়ায়🍷 পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে আগেই এই দুজনের প্রশংসা করেছিলেন বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
তিনি এএনআইকে বলেছিলেন, রজত ভট্টাচার্য আর গিরিধারী রায় বাংলাপক্ষের সদস্য। তা🐲রা ভারত মাতার দেশপ্রেমিক সন্তান। তারা সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফকে রক্ষা করেছে ওই ক্রিমিনালরা ভুয়ো বাসস্থꦜানের সার্টিফিকেট জমা দিতে যাচ্ছিল। তারা ফোর্সে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল। ওই দুজন দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সুরক্ষাকে রক্ষা করেছে।দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় ২০২১ ও ২০২২ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোটায় ৬০ শতাংশ প্রার্থীর পরিচয় ছিল প্রশ্নের মুখে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫৫৫০জন ছিলেন। ভুয়ো নথি জমা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের লোকজনও ভুয়ো নথি জমা দিচ্ছেন। আমরা সিআরপিএফের অফিসেও গিয়েছিলাম। সমস্ত মহলে জানিয়েছি। ওয়েস্ট বেঙ্গল অসম ত্রিপুরায় একই সমস্যা। তারা অবৈধভাবে প্রবেশ করে ফোর্সের মধ্যে প্রবেশ করছে। এটা জাতীয় সুরক্ষার ব্যাপার। আমরা কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। প্রথমে সিআইডিতে গিয়েছিল মামলা, পরে সিবিআইতে গিয়েছিল। তাঁর দাবি এটা জাতীয় সুরক্ষার ব্যাপার।
প্রসঙ্গত বিহার থেকে শিলিগুড়িতে পরীক্ষা দিতে আসা দুই ছাত্রকে হেনস্থা করেছিলেন বাংলা পক্ষের দুজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলে🌌ন। পুলিশ অভিয♔ুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
একটি ভিডিয়ো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ☂িরিরাজ সিংহ শেয়ার করেছিলেন।
তিনি লিখেছিলেন, বাংলায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য রেড কার্পেট আর বিহারের বাচ্চাদের মারধর করা হল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য? তারা কি ভারতের অংশ নয়? মমতা বন্দ▨্যোপাধ্যায় কি শুধু ধর্ষকদের বাঁচানোর ঠিকা নিয়েছেন?
সেই ভিডিয়োতꦬে দেখা যাচ্ছে দুজন তরুণ ঘুমিয়ে রয়েছে। এরপর দুজন এসে তাদের বাংলায় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে। তারা বাংলা বুঝতে পারছিল না। এরপর তাদের হিন্দিতে প্রশ্ন করা হয়। তারা বলে পরীক্ষা দিতে এসেছি। এরপরই শুরু হয় তাদের উপর চোটপাট। তাদের ডকুমে♈ন্ট বের করতে বলে। কিন্তু তারা বের করতে চায়নি। এরপর তাদের কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। কেন তারা বাংলায় পরীক্ষা দিতে এসেছে সেই প্রশ্ন করা হয়।