রাজ্যের সব হাসপাতালকে পিছনে ফেলে সেরার শিরোপা পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুঘাট জেলা হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই হাসপাতালকে সেরা হাসপাতাল হিসেবে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তিনটি প্রকল্পে ৯০- এর ওপরে স্কোর করেছে এই হাসপাতাল। এই সমস্ত প্রকল্পের ১৬টি বিভাগে কোয়ালিটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে হাসপাতালকে। শুধু তাই নয়, পুরস্কার হিসেবে তিন বছরে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা অনুদান পাবꦍে এই হাসপাতাল। এমন সাফল্যে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগাম൩ী দিনে তারা আরও ভালো পরিষেবা দিতে চাইছেন।
আরও পড়ুন: হাঁস মু⭕রগি থেকে ফসল বাঁচাতে জমিতে বিষ ছড়িয়েছিলেন কৃষক, খেয়ে অসুস্থ ৩ শিশু
জানা গিয়েছে, তিনটি প্রকল্পের অধীনে গত গত বছরের ২৫ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দল এই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সেই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মুসকান, লাকশা এবং এনকিউএএস। মুসকান প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালের শিশু বিভাগের সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্রতিনিধি দল। এনকিউএএস প্রকল্পের অধীনে হাসপাতালের সব বিভাগের চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামোর পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয় গুণগত মান ও অন্যান্য পরিষেবা যাচাই করা হয়। লাকশা প💎্রকল্পের অধীনে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ পরিদর্ಌশন করে সবদিক খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
মূলত এই সমস্ত বিভাগগুলিতে চিকিৎসকদের ভূমিকা কেমন? রোগীদের কেমন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে এবং অভিযোগ খতিয়ে দꦕেখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। তাতে এনকিউএএস প্রকল্পে এই হাসপাতালটি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, সেটি হল ৯৬ শতাংশ নম্বর এবং লাকশা ও মুসকান প্রকল্পে হাসপাতালটি যথাক্রমে ৯৪ ও ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তবে রাজ্যের বাকি হাসপাতালগুলির সেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গিয়েছে। শুধুমাত্র নদীয়ার পানিঘাটা হাসপাতাল এনকিউএএস প্রকল্পের অধীনে ৬টি বিভাগে ৭৯.১৮ নম্বর পেয়েছে।
এমন সাফল্যে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত দাসের ভালো কাজ হয়েছে। এই সাফল্য আগামী দিনে তাদের আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। এই অর্থ হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, এর আগে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে গত বছর সেরার শিরোপা পেয়েছিল। সে ক্ষেত্রে পুরস্কার হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান 𓆏পেয়েছিল হাসপাতাল।