পাঁচদিন আগে স্ত্রীকে খুন করেছিল। তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল সে। কিন্তু ঘটনার পুননির্মাণ করতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। কারণ স্ত্রীকে খুন করে রেলের শেডে ফেলে বাড়ি ফিরে রাতভর মদ খেয়েছিল সানি পাসি। সঙ্গে চাট হিসেবে ছিল স্ত্রী রানি পাসির হাতে রাঁধা এঁচোড়ের চচ্চড়ি। তারপর ভোররাতে ঘুমন্ত সন্তানকে কোলে নিয়ে গিয়েছিল কালীমন্দিরে। মন্দিরের চাতালেই এরপর ঘুমিয়ে পড়ে সে। দুপুরের থানায় আত্মসমর্পণ করে সানি।কেন অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরা? পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৩ এপ্রিল ব্যান্ডেলে এই খুন হয়। আর এই অভিযুক্ত সানি পাসির মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি। এই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়েই তাজ্জব করা তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশকে বারবার বিভ্রান্ত করেছে যুবক সানি পাসি। এমনকী সে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছে বলে পুলিশকে হুমকি দেয়। শান্তভাবে মুচকি হাসিতে বারবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করার কায়দা দেখে অবাক হয়েছেন তদন্তকারীরাও। কী দেখা গেল পুনর্নির্মাণে? এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ পর্বে দেখা যায়, সানি শেডের ভিতরেই স্ত্রীকে মেরেছিল। বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করার পর তাঁকে মারধর করে সানি। লোহার রড নিয়ে স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায় রেলের পরিত্যক্ত শেডে। সেখানেও একদফা মারধর করে সানি। তারপর মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে। যখন দেখে স্ত্রী কোনও সাড়াশব্দ করছে না, তখন সে ধরে নেয় রানি মারা গিয়েছেন। তারপর ফিরে আসে বাড়িতে। ঘরে ফিরে ভোর পর্যন্ত চলে মদ্যপান। সঙ্গে এঁচোড়ের চচ্চড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আঘাতের পর তৎক্ষণাৎ মারা যাননি গৃহবধূ রানি পাসি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন দীর্ঘক্ষণ। তারপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয় রানির।উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ব্যান্ডেলের লোকোপাড়ায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। নিজেই গিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করে সানি। ওইদিন পুলিশ সানি পাসিকে গ্রেফতার করে। এই সানি পাসি চার বছরে তিনটি বিয়ে করেছিল। রানি পাসি ছিলেন তৃতীয় স্ত্রী তথা দ্বিতীয় স্ত্রী’র বোন। কোনও কাজকর্ম না করা এবং রোজ মদ খাওয়া নিয়েই স্বামী–স্ত্রী’র মধ্যে অশান্তি ছিল।