শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা–কে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা। যারা পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড করেছে। যে আবদুল লতিফের নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে তারও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। দু্র্গাপুরে রাজু ঝায়ের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এই বিস্ফোরক দাবি করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। রাজুর ঝাঁ খুনের প্রায় সাতদিনের মাথায় দুর্গাপুরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলেন সাংসদ। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। রাজুর খুনের দিন তাঁর সঙ্গে এক গাড়িতেই ছিলেন লতিফ। আর এই ঘটনার পর থেকে গা–ঢাকা 🌼দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আজ, শুক্রবার রাজু ঝায়ের দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর উপস্থিতিতে ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজু ঝা। এরপর অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। এদিন অর্জুন স্পষ্ট জানান, বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন না রাজু ঝা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে খুনের নেপথ্যে কি বিজেপির হাত রয়েছে? এদিন রাজুর বাড়িতে যান অর্জুন সিং। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বজনহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই সাংসদের দাবি, রাজু একজন ব্যবসায়ী। তাই তাঁর শত্রু থাকতেই পা𒈔রে। পরিকল্পনা করেই রাজুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ চাইলেই তাকে গ্রেফতার করতে পারেন। তাহলে গ্রেফতার করছে না কেন? উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী বলেছেন অর্জুন সিং? এই♐ ঘটনাটি কোনও ছোট মাথার কাজ নয় বলে দাবি এই সাংসদের। অর্জুন সিং এদিন রাজুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলꦕেন, ‘আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত চক্রান্ত করে ওকে খুন করা হয়েছে। যতটুকু আমি বুঝি যদি লতিফকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হয় তাহলে ওকে সরিয়ে দেওয়া হবে। লিংক কেটে দেওয়ার একটা চেষ্টা করা হবে। এটা কোনও ছোট মাথার কাজ নয়। নেপথ্যে বড় কোনও মাথা রয়েছে।’ বীরভূমের ইলামবাজার গরুহাটের ‘মওাথা’ আবদুল লতিফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নিহত রাজুর। গরুপাচার মামলায় ইডি’র নজরে রয়েছেন আবদুল লতিফ। তাকে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিতে তলব করেছে ইডি।