দলের প্রতি এতদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এবার দলের নেতাদের ঋণ শোধ করতে শুরু করলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ শীলভদ্র দত্ত। চিকিৎসার জন্য তৃণমূল নেতাদের থেকে নেওয়া 🍸টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাসকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককেও টাকඣা ফেরনোর চেষ্টা করছেন তিনি। তবে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু কಌী হয়েছিল শীলভদ্রের? কেনই বা ধার করতে হয়েছিল টাকা? ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বিপুল টাকা খরচ করে লিভার প্রতিস্থাপন করান ব্যারাকপুরের বিধায়ক। এতটাই বেশি খরচ হয়েছিল যে সে সময় তাঁর ঘ♐নিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতার কাছ থেকে তিনি সর্বসাকুল্যে ১২ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। এবার সেই ঋণই শোধ করতে শুরু করেছেন তিনি।
কিন্তু হঠাৎ এখন কেন? কিছুদিন আগেই শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছিলেন যে আগামী বিধানসভা ভোটে আর তৃণমূলের টিকিটে তিনি দাঁড়াবেন না। সদ্য তৃণমূল–ছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর গুণগানও করেন। আক্রমণ করেন তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত ক🌱িশোরকে। ‘দমবন্ধ হয়ে আসছে’ বলে ফেসবুকে লিখেছিলেন শীলভদ্র। এর পর থেকেই তৃণমূলের একাংশ এই বলে আক্রমণ তাঁকে আক্রমণ করে— যে দলের নেতারা চিকিৎসার টাকা দিয়েছেন, সেই দলই ছেড়ে দিতে চলেছেন তিনি। তাই ভবিষ্যতে যাতে কেউ তাঁকে এভাবে কটাক্ষ করতে না পারেন তাই ধারের টাকা শোধ করতে শুরু করেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে শীলভদ্র দত্ত জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শীলভদ্র দত্ত এদিন বলেন, ‘আমার যখন শরীর খারাপ হয়েছিল তখন অনেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। দলগতভাবে আমাকে কেউ সাহায্য করেছে বলে আমার মনে হয় না𒅌। একজন বিধায়ক হিসেবে আমি সরকারি টাকা পেয়েছি। কিন্তু যাঁরা যাঁরা রাজনীতিগতভাবে টাকা দিয়েছেন বলে মনে করছেন, আমি তাঁদের টাকা নিশ্চিতভাবে ফিরিয়ে দেব। যে যে চাইবেন সকলকে দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যারাকপুরের পুর প্রশাসক উত্তম দাস আমাকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আমি সেই টাকা তাঁকে দিয়েছি। আগে আমি ২ লক্ষ টাকার চেক পাঠিয়েছিলাম। তিনি চেকে টাকা নিতে অস্বীকার করে নগদ চেয়েছেন। আমি তার পর নগদ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। আর আমি আজ সকালেই পার্থ ভৌমিককে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছেন টাকা নেবেন না।’ জানা গিয়েছে, শীলভদ্র দ⭕ত্তর পাওনাদের তালিকায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নারায়ণ গোস্বামীরাও।