দলের রাশ কীভাবে নিজের হাতে রাখতে হয় তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নানা মহল থেকে কেউ কেউ বলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে উপমুখ্য়মন্ত্রী করা হোক। সেই সঙ্গেই কোথাও একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নꦿেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নটা কৌশলে উসকে দেওয়া হচ্ছিল। তবে সোমবারের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মমতা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এই দলটাকে তৈরি করেছেন তিনি। এই দলটার রাশ তাঁর হাতে, একমাত্র তাঁরই হাতে। এমনকী সব বিষয় নিয়ে যারা মুখ খুলছিলেন তাঁদের জন্য়ও এবার লক্ষণরেখা বেঁধে দিলেন মমতা।
এবার কে কোন বিষয় নিয়ে মুখ খুলবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দিলেন মমতা। কার্যত এতদিন ধরে নেতারা যেকোনও বিষয় নিয়ে কথা বলতেন। এমনকী দলের সম্🌞পর্কে কিছু কথা বলতে গিয়ে মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু বলে ফেলতেন যেটা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যেত দল। এমনকী তৃণমূলের এক মুখপাত্র পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কার্যত অভিষেককে বসিয়েই দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সবটাই নজরে ছিল সুপ্রিমোর। আর সুযোগ বুঝে এবার সেই মুখপাত্রদের গন্ডি বেঁধে দিলেন মমতা।
সাংবাদিকদের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে♍ছেন, দিল্লির রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলবেন- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কীর্তি আজাদ, ডেরেক ও ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব।
অর্থনীতি বিষয়ক মুখপাত্র- অমিত মಞিত্র☂, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
শিল্প বিষয়ক মুখপাত্র- শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক
উত꧋্তরবঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়ে বলতে পারবেন কেবলমাত্র গৌতম দেব, উদয়ন গুহ, প্রকাশ চিক বরাইক
ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে কথা বলবেন বীরবাহা হাঁসদা
চা বাগানের বিষয়ে বলবেন মলয় ঘটক
বিধানসভা সংক্রান্ত কোনও ইস্য়ুতে বলবেন কেবলমাত্র শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, মানস ভুঁইয়া, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, সুমন কাঞ্জিলাল।
কার্যত একেবারে গন্ডি টেনে দিলেন খোদ মমতা। আর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপ🦂াধ্য়ায় তিনিও এই গন্ডির বাইরে নন। তিনি সাধারণত জাতীয় ক্ষেত্র নিয়েই মুখ খুলতে পারবেন। তবে এর ব্যতিক্রꦑমও হতে পারে দলের অন্দরে।