বারুইপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত অধরা। তবে তার ভাই𝄹কে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। বারুইপুর থানার অন্তর্গত নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গোড়দাতে জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডল ওরফে বলাই। আর তার ভাই আবদুল মজিদ মণ্ডল। এই ভাইকে দীর্ঘ জেরা করার পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ, শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বারুইপুরের নবগ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দার মণ্ডলপাড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডল ওরফে বলাই এখনও অধরা। বারুইপুর থানার পুলিশ তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ꧒্ছে। মঙ্গলবার মাঝরাতে মণ্ডলপাড়ার পাকাপোল এলাকা⛦য় মদ–গাঁজার আসরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাজ্জাত মণ্ডল এবং সারফুদ্দিন লস্কর।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, সার🎃ফুদ্দিনের কাছে থাকা এক লক্ষ টাকা নিয়💯ে গা–ঢাকা দিয়েছে হামিদ মণ্ডল। ওইদিন সন্ধ্যায় বারুইপুরের কুমোরহাটে জুয়ার আসরে গিয়ে এক লক্ষ টাকা জিতেছিলেন সারফুদ্দিন। যদিও তাঁর স্ত্রীর দাবি, ওই টাকা গরু কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছ🏅িলেন সা🐭রফুদ্দিন। পুলিশ যদিও একটি নথি থেকে জানতে পেরেছে, তিনি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ব্যাঙ্ক থেকে। এই গোটা বিষয়টি জানে হামিদের ভাই মজিদ। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আর কী জানা গিয়েছে? সূত্রের খবর, হামিদ অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। সে পিস্তল বিক্রি করত। এদিকে, হামিদ ধরা না পড়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তার মধ্যেই অভিযুক্তের মা ও ভাইপো খুনের হুমকি দিচ্ছে মৃতদের পরিবারকে। দু’জনের দেহই এদিন সমাধিস্থ করা হয়। বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গোটা গ্রামে টহল দিয়েছে। এদিন পুলিশ অভিযুক্ত হামিদের অর্ধদগ্ধ বাড়ি এবং সংলগ্ন দোকান সিল করে দেয়। আর তার ভাই মজি🌳দকে গ্রেফতার করে।