প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে ভারতীয় সেনাকর্মীদের থেকে গোপন তথ্য আদায়ের চেষ্টা করেছিল বসিরহাটের কলেজছাত্রী। লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে বছর বাইশের তরুণীর বিরুদ্ধঝে অভিযোগ আনলেন গোয়েন্দারা।বৃহস্পতিবারবাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা বসিরহাটে বাদুড়িয়ার মলয়পুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় তানিয়া পরভীন নামে ওই ছাত্রীকে। গতকাল এবং শুক্রবার তাঁকে নাগাড়ে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনেছেন গোয়েন্দারা। তরুণীকে আপাতত ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দোেশ দিয়েছে আদালত।রাজ্য পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স-এর সদস্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ধৃতের মোবাইল ফোন কনটেন্ট ঘাঁটতে গিয়ে আমাদের নজরে পড়েছে, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক কর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে তাঁদের হানি ট্র্যাপে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই কলেজছাত্রী। তবে মনে হচ্ছে, এই কাজে তিনি সফল হননি।’অন্য দিকে, এসটিএফ ইন্সপেক্টর জেনারেল অজয় কুমার নন্দা জানিয়েছেন, ওই মহিলার সঙ্গে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘তরুণীর সঙ্গে পাকিস্তানে এল-ই-টি সদস্যদের সরাসরি যোগ ছিল, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাদের সহ্গে যোগাযোগ করতে তিনি ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করতেন। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে, যার ভিত্তিতে গোটা চক্রের সন্ধান মিলবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’তরুণীর মোবাইল সিম কার্ডের রিচার্জ নথি ঘেঁটে গত কয়েক মাসে মাসিক ৩,০০০-৪,০০০ টাকা রিচার্জের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। দরিদ্র পরিবারের মেয়ের ফোন রিচার্জের টাকার উৎস নিয়ে খটকা লাগার পরেই জাল গোটাতে শুরু করেন গোয়েন্দারা।জানা গিয়েছে, পরভীনের বাবা আলামিন মণ্ডল পেশায় দিনমজুর। তিনি রাজমিস্ত্রিদের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। পরভীন মাঝেমধ্যে স্থানীয় শিশুদের পড়াতেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এফ (সাইবার অপরাধ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বসিরহাট আদালতে। তরুণীর কাছ থেকে ২টি ভারতীয় সিম কার্ড এবং একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে।