ফের মন খারাপের খবর চা বাগানে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার মাশুল দিতে হল চা বাগানগুলিকে। এর জ🐽েরে চায়ের উৎপাদন মারাত্মকভাবে মার খাচ্ছে। সাধারণত প্রথম ফ্লাশের চা🦩 এর কদর বেশি থাকে। স্বাদে, গন্ধে একেবারে অতুলনীয় হয় এই ফার্স্ট ফ্লাশের চা। তবে এবার বড় ধাক্কার মুখে এই প্রথম ফ্লাশের চা। উৎপাদন ব্যপকভাবে মার খেয়েছে বলে খবর।
দেখা যাচ্ছে এবার প্রথম ফ্লাশের উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। গত বছর প্রথম ফ্লাশের চায়ের উৎপাদন হয়েছিল প্রায় আট কোটি কেজি। আর এবার দেখা যাচ্ছে সেই 🍬চায়ের উৎপাদন কমে গিয়ে🅷 হয়েছে ৬ কোটি কেজি। অর্থাৎ পরিসংখ্য়ান বলছে এবার চায়ের উৎপাদন কমে গিয়েছে প্রায় ২ কোটি কেজি।
সাধারণত শীতের মরশুম কেটে যাওয়ার পরে মার্চ মাস থেকে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হয়। মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত যে পাতা আসে চা গাছে সেটাই প্রথম ফ্লাশ। আর এর কদরই আলাদা। এদিকে এবার দেখা যাচ্ছে সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গে সেই চায়ের উৎপাদন একধাক্কায় কমে গিয়েছে। তবে এবার আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে প্রথম ফ্লাশের চায়ের উৎপাদন কমবে। কারণ একাধিক বওাগান থেকেই খবর আসছিল যে চায়ের উৎপাদন ক্রমশ কমছে। আর মে মাসের শেষে দেখা গেল বাস্তবিকই ফার্স্ট ফ্লাশে চায়ের উৎপাদন কমেছে অনেকটাই।
ডুয়ার্সের চায়ের উৎপাদন একধাক্কায় কমে গিয়েছে। ডুয়ার্সে এবার চায়ের উৎপাদন এক কোটি কেজি কমে গিয়েছে। আর 🥀দার্জিলিংয়ে প্রথম ফ্লাশে চায়ের উৎপাদন ৩০ লাখ কেজি কমে গিয়েছে।
এদিকে এবার চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবথেকে সমস্যার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। আর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে সমস্যায় পড়ছেন চা বাগানের মালিক থেকে শ্রমিক সকলেই। কারণ সবথেকে বড় বিষয় হল এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা বিশেষত কখনও অতিবৃꦑষ্টি আর কখনও বৃষ্টি পর্যাপ্ত না হওয়ার জেরে সমস্যা বাড়ছে।
একদিকে এবারে প্রথম ফ্লাশের সময় বৃষ্টি না পাওয়ার জেরে রোগপোকার আক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন কম হয়েছে। এর জেরে মাথায় হাত পড়েꦗ গিয়েছে চা উৎপাদকদের। চায়ের উ🌳ৎপাদন ক্রমশ কমেছে। আর বর্তমানে আবার অতি বৃষ্টি তার জেরে চা বাগানে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে কার্যত দুটি পর্যায়তেই সমস্যায় পড়়ে গিয়েছেন চায়ের উৎপাদকরা।