একদিন আগেই তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। কী কথা হয়েছে? তা কোনও পক্ষই খোলসা করেননি। শুধু শরীরী ভাষা, মুখের ভাষা এবং কাজের ধরণে পরিবর্তন এল। তাই দেখে মনে হচ্ছে কাজ হয়েছে। এবার সমস্যা মিটবে। ফোনের দু’প্রান্তে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং স্বয়ং সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফোন করে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সকলে কোর কমিটির সঙ্গে মিলে 𝔉কাজ করতে হবে। ঠিক তার পরের দিন থেকেই তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন দিদির কেষ্ট। আর জানিয়ে দিলেন, কালীপুজো–ভাইফোঁটা মিটলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির মিটিং ডাকবেন এ꧃বং কোর কমিটির মিটিং ডাকবেন।
বীরভূমের নানা প্রান্তে বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠান হলেও একাই তা করছেন অনুব্রত মণ্ডল বলে অভিযোগ। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কাজল শেখ অনুপস্থিত। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছে। তিহাড় জেলে যাওয়ার আগে যেভাবে দল বা সংগঠন চালাতেন অনুব্রত, জেল থেকে বেরিয়ে একই পথেই হাঁটছেন তিনি। অথচ তাঁর অবর্তমানে কোর কমিটিই নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠন মজুবত ভিতের উপর ধরে রাখার কাজ করেছিল। তাহলে আজ তাঁদের বাদ দিয়ে কাজ হবে কেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তা জ🤡ানতে পারেন।
আরও পড়ুন: জীবনকৃষ্ণকে অতীত করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস, ইউসুফের বিজয়া সম্মিলনীতে বাদ বিধায়ক
তারপরই ফোন আসে কেষ্টর কাছে। বুঝিয়ে দেওয়া হয় কেমন করে আগামী দিনের পথ চলতে হবে। কেষ্ট কি সেটা বুঝেছেন? হ্যাঁ, সেটি বুঝেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই তো অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘রাজনগর যেভাবে সাজানো হয়েছে সেটা ভাল। সুকুমার🅺 সাধু, বিকাশ দা যেভাবে সংগঠনটা সাজিয়েছেন সেটা দেখে আমার ভাল লাগল।ജ’ তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি ঢোকার সময় সবাই টাইগার আসছে বলল। আপনার হাতে বাঘের প্রতিকৃতি তুলে দেওয়া হল। কেমন লাগছে আপনার? জবাবে অনুব্রতর বক্তব্য, ‘আমি এই নিয়ে কিছু বলব না। শুধু বলতে পারি আমি একজন সাধারণ মানুষ। তার বেশি কিছু নই।’