হাতে আর বাকি ১০ দিন। তারপরই বাংলার মানুষ উৎসবে মেতে উঠবেন। এখন থেকেই দুর্গাপুজোর শপিং শুরু হয়ে গিয়েছཧে। সুতরাং বাংলার মানুষ যে উৎসবে ফিরেছেন সেটা এখনের ভিড় দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। সেখানে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও আশাপ্রদ কোনও ফল মিলছিল না। কারা ভাববে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে বিড়ি শ্রমিকদের মধ্যে। অনেকটা সময় কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি অন্ধকারেই পড়ে রইল। অবশেষে এবার বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়তে চলেছে। আগামী নভেম্বর মাস থেকে ২৪ টাকা বাড়ছে মজুরি। দুর্গাপুজোর আগে না হলেও পরে বাড়ছে।
নভেম্বর মাসেও অনেক উৎসব–পার্বণ আছে। তখন বিড়ি শ্রমিকরা বাড়তি কিছু টাকা পাবেন। কারণ তখন মজুরি বেড়ে যাবে। এবার দীর্ঘ তিন বছর পর রাজ্যের কয়েক লক্ষ বিড়ি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল বিড়ি মালিক সংগঠনগুলি। সেখানে জানানো হয়েছে, আগামী নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়খণ্ডে বিড়ি তৈরির কারিগরদের মজুরি বাড়বে। যদিও এই ঘোষণায় খুশি নন সাধারণ বিড়ি শ্রমিকরা। কারণ এই মজুরি বৃদ্ধি ‘সামান্য’ বলে মনেꩵ করছেন তাঁরা। দাবি করছেন তাঁদের বেশির ভাগই। ধূলিয়ানের বিড়ি এক বিড়ি শ্রমিক বলেন, ‘বলা হয়েছিল মজুরি বাড়িয়ে ২৭৫ টাকা করা হবে। আর বাস্তবে বাড়ল ২৪ টাকা মজুরি।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় কতগুলি ট্রেন চলবে? কলকাতা মেট্রো একাধিক রুটে নিচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ
এই বিড়ি শ্রমিকের কাজ করে অনেকেই সংসার চালান। তাই মজুরি বৃদ্ধির দিকে সকল বিড়ি শ্রমিক তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু গতকাল শনিবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে একাধিক বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিকপক্ষের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। এই লম্বা বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকেই বৃদ্ধি পাবে মজুরি। এক হাজার বিড়ি তৈরি করার মজুরি ২৪ টাকা বেড়ে হবে ২০২ টাকা। এই চুক্তিপত্রে সই করেছেন ৯টি বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। মালিকপক্ষের সই করেছেন ঔরঙ্গাবাদ ও ধুলিয়ান বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। তবে ২৪ টাকা মজুরি বাড়লেও বিড়ি শ্রমিকদের জীবনের অভাব ঘুচল ন𓆏া।