ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজ নিয়ে ঝামেলা। আর তাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বে খুন করা হয়েছিল দলেরই এক নেতাকে। ১২ বছর পর সেই খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি সহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এই মামলায় আগেই ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তারপরই এই নির্দেশ। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার হরিনাশুলি গ্রামের তৃণমূল নেতা গোলাম কুদ্দুস শেখকে ১২ বছর আগে খুন করা হয়েছিল। সেই মামলাতে 👍আদালতের এই নির্দেশে খুশি গোলামের পরিবার।
আরও পড়ুন: জয়নগরের হত্যাকা💜ণ্ডে সিআইডি’র সাহায্য ꦦনেওয়া হচ্ছে, ঘটনাস্থলে এডিজি সাউথ বেঙ্গল
১২ বছর আগে কী ঘটেছিল?
আদালত সূত্রের খবর, ২০১২ সালের তৃণমূলের দুই𓆉 গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন গোলাম কুদ্দুস শেখ। তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। সেই সময় তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী তাঁর ওপর হামলা চালায়। তারা টাঙি, লাঠি, রড দিয়ে গোলামকে আক্রমণ করে। এরফলে গুরুতর জখম হন গোলাম। আশঙ্কাজনক অ🧸বস্থায় তাকে প্রথমে বিষ্ণুপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। পরে পরিবারের তরܫফে থানায় খুনের অভিযোগ করা হয়।সেই ঘটনায় ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তিন মাস পর অর্থাৎ ২০১২ সালের মার্চে ১৩ জনের নামে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্ত এদের ৬ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। বাকি ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর মধ্যে 🌠রয়েছেন তৃণমূলের উত্তরবাড় অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল ও তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট ৭ জন।
আজ বুধবা💎র তাদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। আদালতের রায়ে খুশি হয়েছেন গোলামের পরিবার। তাদের বক্তব্য, আদালতের ওপর তাদের পূর্ণ আস্থা ছিল। আদালতে তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। তবে শোনা যাচ্ছে দোষীদের পরিবার আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা মহকুমা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে🐬 পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে উচ্চ আদালতে গেলে সেখানেই লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত গোলামের পরিবার।