পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বাম–বিজেপি জোটকে গোহারা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। রাম–বাম জোট কাজ করল না সমবায় নির্বাচনে। তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করতেই এই জোট তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও জিততে পারল না এই জোট। ফলে সমবায় নির্বাচনে মুখ পুড়ল দুই দলের বলে মনে করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে এমন হার প্রভাব ফেলব😼ে ভোটবাক্সে বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বিরোধী জোট। তার জেরে বিরোধী শূন্য হয়ে গেল সমবায় সমিতি।
যদিও এই পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না বাম–বিজেপি জোটের নেতারা। বরং তাঁরা এই সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোটার চুরির অভিযোগ তুলেছেন। যা নিয়ে এখন জেলায় সবাই হাসছেন। গতকাল, রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ ব্লকের পার্বতীপুরে রবিদাসপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল–রাত পর্যন্ত ছিল টানটান স্নায়ুর লড়াই। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্য🐼বস্থার মধ্যে দিয়ে এই নির্বাচন হয়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেওনি। তারপরেও হেরে গিয়েছে রাম–বামের জোট।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সমবায় নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৪৮। তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে ৪৮টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। সেখানে বাম♓–বিজেপির জোট করেও সমস্ত আসনে প✱্রার্থী দিতে পারেনি। ৪১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে গোহারা হেরে গিয়েছে এꦰই জোট। যদিও তাঁদের এই জোটের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন না কেউ। এরপর রাত পর্যন্ত নির্বাচন হয়। তারপর ফলাফল প্রকাশ হতেই সবুজ আবিরে ঢেকে যায় দাসপুর। তখন প্রার্থী চুরির অভিযোগ করেন তাঁ✃রা। ‘সমবায় বাঁচাও মঞ্চ’–এর ব্যানারে প্রার্থী দিয়েছিল তাঁরা। ভোটের ফল বেরোতেই দেখা যায়, সব আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একটি আসনও পায়নি জোট।
তারপর ঠিক কী ঘটল? ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই সবুজ আবিরে ঢেকে গেল রাতের গ্রামবাংলার পথ। ꦺবিরোধীরা তখন চিৎকার করতে শুরু করে দিয়েছেন। তবে বিরোধীরা রীতিমতো গড়মিলের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। তাতে অবশ্য বিশেষ কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করতে নির্বাচনে কারচুপি করেছে বলে অভিযোগ তুলতে থাকেন বিরোধীরা। এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তৃণমূল༒ কংগ্রেসের দাবি, জোট কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তার কারণ মানুষ জানে এলাকার কাজ করে তৃণমূল কংগ্রেস।