বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের নেতা তথা বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি বিজেপি ছা🎉ড়ছেন বলে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ আজ, শুক্রবার বিকেলে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন প্রলয় পাল। একুশের নির্বাচনে যার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। এবার তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। আর তখন থেকেই বিজেপি ছাড়ছেন তিনি বলে ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে আছেন প্রলয় পাল। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ভাল থেকো রাজনীতি। আর নয়। দাও বিদায়।’
এদিকে এই পোস্ট নিয়ে দলের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু কেন𝕴 এমন সিদ্ধান্ত? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে বিজেপি ছাড়লে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি, তমলুক থেকে বিজেপির আসন বের করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ প্রলয় পাল দক্ষ সংগঠক। যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রলয় পাꦰল। সুতরাং জেলার রাজনীতির পাশাপাশি রাজ্য পার্টির অন্দরেও নানা চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীরও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এই ঘটনা যদি ঘটে তাহলে সংগঠনে সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রলয় পাল নিজের ফেসবুকে আগে বিজেপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি পোস্ট করেছেন। বৃহস্পতিবারেরও দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির ছবি পোস্ট করেছেন তিনি ফেসবুকে। কিন্তু কেন হঠাৎ পরিবর্তন ঘটল? এই বিষয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক তাপসী মণ্ডল এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘তিনি আগেও সহ–সভাপতি ছিলেন। নতুন কমিটিতেও সহ–সভাপতি আছেন। কিন্তু কেন এমন করলেন সেটা আমি বুঝে পারছি না। উনি আমাদের সক্রিয় কর্মী। তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েই দলে রাখা হয়ে♛ছে।’
আরও পড়ুন: বাংলার এক কৃষক পেলেন রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার, জড়িয়ে গে🐎ল বিধౠানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কিন্তু প্রলয় কী বলছেন? এখন জেলা জুড়ে এই ফেসবুক পোস্টের কথাই আলোচনা হচ্ছে। চর্চায় উঠে এসেছে প্রলয় পালের ღবিজেপি ছাড়ার কথা। এই ফেসবুক পোস্টের পর এক সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেন প্রলয় পালের সঙ্গে।𒅌 সেখানে টেলিফোনে প্রলয় পাল তাঁর ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বলেন, ‘আমি আর দল করব না। জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছি। জেলা সভাপতির সঙ্গে দেখা করে আগামিকাল শনিবারই পদত্যাগপত্র দিতে চাইছি। থাকব না আর, দল করব না।’ কারণ তিনি জানাননি। তাহলে কি অন্য দলে যাচ্ছেন? উত্তর মেলেনি।