রিষড়ায় রামনবমীর মিছিল এবং তার জেরে হওয়া হিংসার ঘটনায় এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই ঘটনা নিয়ে আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে রাজ্যপ🐠াল সিভি আনন্দ বোস এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। আজ, সোমবার হাসপাতাল থেকেই চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। এমনকী অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল রিষড়ায়? রবিবার রিষড়ায় শোভাযাত্রা বাঙ্গুর পার্ক থেকে মাহেশ পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। সেভাবেই মিছিল বের হয়েছিল। সেখানে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ, পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ এবং শ্রীরামপুরের বিজেপি সভাপতি মোহন আদক–সহ বিজেপির একঝাঁক নেতা–কর্মী ছিলেন। ওই মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিল পেরিয়ে যাওয়ার মুখে দু’পক্ষের সংঘর্ꦇষ শুরু হয়। রাস্তার ধারের গাড়ি, ঠেলা, গুমটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিমান ঘোষ–সহ একাধিক নেতা জখম হন। দিলীপবাবুকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। বিরাট পুলিশ বাহিনী এসে কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। মিছিলে বাধা দেওয়ার জন্য একদল দুষ্কৃতী ঢিল ছোড়ে। বোমাবাজি ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
ঠিক কী লিখেছেন বিধায়ক চিঠিতে? রবিবারের ঘটনা তুলে ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘো♔ষ। তিনি চিঠিতে শাহ–আনন্দকে লিখেছেন, মিছিলে অশান্তি থেকে আক্রমণ করা হয়েছিল। তখন রাজ্যের পুলিশ ‘নীরব দর্শক’ ছিল। পরে মিছিলে নিরাপত্তার নামে আটক করা হয় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন। তাই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ এখানে প্রয়োজন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। আজ, সোমবার হাসপাতাল থেকে এই চিঠি লিখেছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান শ🔯্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয় মিশ্র।