মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে কোচবিহারের বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে অনন্ত মহারাজ অপেক্ষা করছিলেন বাড়ির বাইরে। মমতা সেখানে পৌঁছতেই অনন্ত ছুটে এসে তাঁকে স্বাগত জানান, গলায় পরিয়ে দেন রাজবংশী ♉উত্তরীয় এবং হাতে তুলে দেন রাজব💜ংশী ঐতিহ্যবাহী গুয়াপান।
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে তৃণমূল কংগ্রেস ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তবে শুরু থেকেই লড়াই ছিল কঠিন। কোচবিহার লোকসভায় নির্ণায়ক রাজবংশী ভোটের একটি অংশ তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও, অপর গোষ্ঠীর নেতা অনন্ত মহারাজ প্রকাশ্যেই বিজেপির পক্ষে ছিলেন। বিজেপি তাঁকে সাংসদ করে রাজ্যসভায়ও পাঠায়। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সম্পর্ক সব সময় মসৃণ ছ𓆉িল না। বিভিন্ন কারণে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের উপর অনন্তের ক্ষোভ ছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ক্ষোভেরই কারণেই লোকসভা ভোটে ফয়দা পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন। কোচবিহারে মদনমোহন মন্দিরে অঞ্জলি মুখ্𒅌যমন্ত্রীর, ‘মা মাটি মানুষে'র নামে পুজো
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বীর চিলা রায়ের নামাঙ্কিত একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনন্ত মহারাজকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। তবে পরে অনন্তকে তৎকাল🌟ীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায়। সেই সময়ের মঞ্চে মমতার সঙ্গে থাকা অনন্তের পর সন্ধ্যায় একই মঞ্চে নিশীথের বক্তৃতা তৃণমূল নেতৃত্ব ভালভাবে নেয়নি। পরবর্তীতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অনন্তকে রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। শুরুতে আপত্তি থাকলেও পরে প্রস্তাব মেনে নেন অনন্ত।
তবে, নিশীথ প্রামাণিক এবং অমিত শাহের সঙ্গে অনন্ত মহারাজের সম্পর্ক মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন 🦩কারণে মনোমালিন্যের ফলে অনন্ত কার্যত ঘরে বসে যান। ধূপগুড়ি উপনির্বাচন এই মনোমালিন্যের সবচেয়ে বড় প্রমাণ, যেখানে রাজবংশী ভোট তৃণমূলের পক্ষে যায় এবং বিজেপির পরাজয় ঘটে। এর পর থেকেই কোচবিহারে পরিস্থ📖িতি বদলাতে শুরু করে, বিজেপির সঙ্গে অনন্তের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ে।
মঙ্গলবার অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদার্পণ এই ধারণাকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে 🤪বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে।
এই সফর ও সাক্ষাৎ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। অন্তত মহারাজের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথা বলেন মুখ্যম🐼ন্ত্রী। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি।