শালিসি সভায় ডেকে যুবককে মারধরের অভিযোগ। তার পরই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন যুবক। ঘটনায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের বাবা। ঘটনা জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের বানেভাসা পাড়ার। নিহত যুবক বাপ্পা মোহন্তর দাদা বিশ্বনাথ মোহন্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ মিত্রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।বানেভাসা পাড়ার বাসিন্দা বাপ্পার সঙ্গে স্ত্রী শুক্লার দীর্ঘ দাম্পত্য কলহ চলছিল। যার জেরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন শুক্লা। স্ত্রীকে বুঝিয়ে ফেরত আনেন বাপ্পা। শুক্লাদেবীর অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় স্বামী তাঁকে নির্যাতন করতেন। গত ২১ অক্টোবর ফের দাম্পত্যকলহ শুরু হলে স্ত্রী শুক্লা মোহন্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ মিত্রের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। অভইযোগ, এর পর ডেকে পাঠানো হয় বাপ্পাকে। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।নিহতের দাদার দাবি, বারবার বললেন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরত আসেননি শুক্লা। এর জেরে বিষাদে ভুগতে শুরু করে ভাই। আমাকে সেকথা জানায় সে। এর পর ২৩ অক্টোবর সকালে জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে আত্মঘাতী হয় সে। রেল লাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এর পর কোতয়ালি থানায় গিয়ে দিলীপ মিত্র, নিহতের স্ত্রীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের দাদা। সঙ্গে ছিলেন পাশের এলাকার তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য।বাপ্পাকে মারধরের কথা অস্বীকার করে দিলীপবাবু বলেন, ‘ও মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে অত্যাচার করেছিল। ওর স্ত্রী প্রাণ বাঁচাতে আমার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয়। পিছন পিছন বাপ্পাও চলে আসে। আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর গলা টিপে ধরে। বাধা দিলে আমাকে ধাক্কা দেয়। এর পর আত্মরক্ষার স্বার্থে ওকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বার করে দিই।’