বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জয়ী প্রার্থীদের বাংলায় এসে ভোকাল টনিক দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেই জোর ধাক্কা খেলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গড়া পঞ্চায়েত সমিতি চলে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এমন উলটপুরাণ ঘটায় তিনি ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি বিধানসভার খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতি এখন তৃণমূল 🐟কংগ্রেসের দখলে। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির এক জয়ী সদস্য–সদস্যা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। সুতরাং তৃণমূলের দখলে চলে আসে ওই পঞ্চায়েত সমিতি।
এদিকে খেজুরি বিধানসভা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই পরিচিত জেলায়। সেখানে তাঁর দলের দুই জয়ী সদস্যের ত🀅ৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জেরে পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হয়েছে। এতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। খেজুরি–২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ১৫। যার মধ্যে বিজেপি জয়লাভ করে ৯টি আসন। আর তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় ৬টি আসনে। সেখানে বিজেপির থেকে দুটি আসন চলে গেলে তৃণমূলের আসন বেড়ে দাঁড়ায় ৮। আর বিজেপির কমে গি💧য়ে হয়েছে ৭। বিজেপির টিকিটে জেতা দুই সদস্য উদয়শঙ্কর মাইতি ও পিপাসা দাস আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
অন্যদিকে খেজুরিতে তিনবারের মণ্ডল সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি ও পিপাসা দাস বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর ক্যারিশমা কোথায়? কেন আটকাতে পারলেন না? জেলায় ঠিক কী বার্তা যাবে? জেলা পার্টির অন্দরে এখন এসব প্রশ্ন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে বলে সূত্রের খবর। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ, সভাধিপতি উত্তম বারিক এবং জেলা সভাপতি তরুণꩲ মাইতির হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন দুই পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য–সদস্যা। এই ঘটনা নিয়ে খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস খেজুরিতে বোমা বন্দুকের রাজনীতি করছে। তাই আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে খেজুরিতে। আমাদের এই দুই সদস্যকে নিশ্চিতভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ ক𒁏মিশনারের গাড়ি যানজটে থমকে গেল, চটে ক্লোজ করলেন ট্রাফিক গার্ডের ওসি–কে
ঠিক কী বলছেন যোগদানকারী সদস্য? বিজেপি যখন পঞ্চায়েত সমিতি হারিয়ে জোর চিৎকার করতে শুরু করেছে তখন মুখ খুললেন জয়ী প্রার্থী উদয়শঙ্কর মাইতি। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পঞ্চায়েত সমিতিতে আমার জয়লাভ হয꧙়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটে। বিজেপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছে। বিজেপির বেশ কিছু নেতা আমাকে হারানোর চক্রান্ত করেছিল। যে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করেছে, সেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আমি বিজেপির প্রার্থী হয়েও জয়লাভ করেছি। তৃণমূলের ভোটেই আমি জিতেছি বলে সেখানে যোগ দিলাম।’