তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী খুনের ঘটনার পর রাতভর হামলা চলল নৈহাটির বিজেপি পꦇার্টি অফিস ও বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে। দলীয় দুষ্কৃতী খু♉নের অছিলায় গোটা রাত নৈহাটির বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বেড়াল তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। শুক্রবার বিকেলে নৈহাটির গৌরীপুরে খুন হন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী সন্তোষ যাদব। এর পর সন্ধে নামতেই নৈহাটি লাগোয়া গড়িফাসহ একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে শুরু হয় তৃণমূলি তাণ্ডব। স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিকের দাবি, এই খুনের পিছনে রয়েছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। পালটা অর্জুনের দাবি, অবৈধভাবে চটকলের জমি বিক্রি নিয়ে তৃণমূলের ২ পক্ষের বিবাদে এই খুন।
শুক্রবার রাতে গৌরীপুর জুটমিলে শ্রমিক লাইনে বিজেপি কর্মী কানাই সাউয়ের বাড়ি ভাঙচুর চালায় তৃণমূলি গুন্ডারা। গড়িফায় বিজেপি কর্মী বিকাশ সিংয়ের একটি অনুষ্⛄ঠান বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। নৈহ🌃াটিতে অর্জুন সিংয়ের অন্যতম কার্যালয় সিং ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সব জায়গাতেই পুলিশ ছিল দর্শকের ভূমিকায়।
পার্থ ভৌমিকের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাটপাড়ায় হার নিশ্চিত জেনে অর্জুন সিং তার গুন্ডাদের দিয়ে খুন করিয়েছে। নৈহাটি বিধানসভা উপ নির্বাচনে সন্তোষ যা🧸দবের নেতৃত্বে গৌরীপুরে তৃণমূল ভালো ফল করেছে। তাতেই ভয় পেয়েছে অর্জুন সিং। খুনে যে ধানুয়া রাজেশের নাম উঠে আসছে সে অর্জুন সিংয়ের ডান হাত। ব্যারাকপুরে যখন অপরাধ ক্রমশ কমছে তখন এসব করে নিজের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে চাইছে অ🎀র্জুন সিং।
পালটা অর্জুন সিংয়ের দাবি, সন্তোষ যাদব সাট্টা ও লোটোর কারবারে যুক🔯্ত। সন্তোষের সঙ্গে রাজেশের বিবাদ নতুন নয়। গৌরীপুর জুটমিলের জমি ও যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বিক্রি নিয়ে ২ জনের মধ্যে দীর্ঘদি🧸ন বিবাদ চলছিল। পুলিশেও ২ জন ২ জনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে। শুক্রবারও সন্তোষ যাদব থানায় যাওয়ার পথে তাকে খুন করা হয়েছে।