মহানবমীর সকালে বিকট বিস্ফোর♍ণের শব্দে আতঙ্ক ছড়াল কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। এদিন ওই হাসপাতালের সামনে একটি ওষুধের দোকানে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দোকানের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ হিসেবে দাবি করে দুষ্কৃতীরা। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তাঁকে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, দীর♊্ঘদিন ধরে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে ওই ওষুধের ব্যবসায়ীকে হুমকি দিচ্ছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। ২১ অক্টোবর, বুধবার রাতে তাঁকে শেষ ফোন করে দুষ্কৃতীদলের একজন। সেদিন রাতেই দোকানের সামনে কে বা কারা বোমা রেখে চলে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও সেদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এর পর, আজ, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ক্রেতা সেজে এক দুষ্কৃতী দোকানে আসে। সে দোকানে একটি ব্যাগ রেখে ১০ টাকার ওষুধের জন্য দোকানদারকে ১০০ টাকায় দেয়। দোকানদার জানায়, তাঁর পক্ষে এতটা খুচরো দেওয়া সম্ভব নয়। তখনই দোকানের ভেতরে ব্যাগ রেখে বাইরে বেরিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। সে বেরিয়ে যেতেই ওই ব্যাগ থেকে বি🎃কট শব্দে বিস্ফোরণ হয়।
দোকানে কোনও ক্রেতা না থাকায় বড়সড় কোনও ক্ဣষয়ক্ষতি হয়নি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই দোকানদার। বিস্ফোরণের তীব্রতায় দোকানের কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। অনেক ওষুধের ক্ষতিও হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। সিসি টিভি ফুটেজ ও দোকানদারের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেꩵলঘরিয়া থানার পুলিশ।
তদন্তকারী এক 🧸পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, যে ব্যাগ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে তাতে মূলত কিছু অবৈধ শব্দবাজি রাখা ছিল। এর পর ফরেনসিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করবে। আপাতত পুলিশের পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কামারহাটি পুরসভার প্রশাসক গোপাল সাহা বলেন, ‘ভয় দেখানোর জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানকার পুলিশ অনেক সক্রিয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। সবটাই খুব শীঘ্রই জানা যাবে।’