সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। কিন্তু বিএসএফ–এর তৎপরতায় বানচাল হয়ে গেল সেই ছক। অনুপ্রবেশ রুখতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বিএসএফ। তাদের গুলিতে প্রাণ গেল এক বাংলাদেশির। জখম অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় একজনকে। ঘটনাটি ঘটে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা সীমান্তে।ঠিক কী ঘটেছিল? বিএসএফ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তে চার বাংলাদেশি আসে। তারা গরুপাচারকারী বলে সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের৷ তখন তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাধা পেয়েই তারা বিএসএফ–এর সঙ্গে বচসা শুরু করে। এই বচসা চলাকালীন বিএসএফের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে একজন। তখন বিএসএফ গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এক বাংলাদেশি৷ এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরাও তাড়া করে অনুপ্রবেশকারীদের ধরে ফেলার চেষ্টা করে। এক অনুপ্রবেশকারীকে ধরেও ফেলে প্রেমডাঙার বাসিন্দারা। বেধড়ক মারধর করে। যার জেরে গুরুতর জখম হয় সে। বাকি অনুপ্রবেশকারীরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জুমান বাবু৷ সে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বাসিন্দা৷ আর একজন রেজাউল করিম মারধরে আহত হয়েছে। তাকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে৷ বাকি দু’জন বাংলাদেশে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ৷জানা গিয়েছে, সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে এরা ঢুকে পড়েছিল। উল্লেখ্য, সুন্দরবন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩০ জন বাংলাদেশিকে। তাদেরকেও ধরেছিল বিএসএফ। কিন্তু বারবার কেন সীমান্ত পেরিয়ে বারতে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশিরা তা নিয়ে করালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। নেপথ্যে কী কোনও নাশকতার ছক রয়েছে? খতিয়ে দেখছে বিএসএফ।