২০১৯ সালে আইনে পরিণত হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ সহ ৬টি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে সিএএ কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এরপর বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে এই আইনের ধারা এবং নিয়ম বানাতেই চলে গিয়েছে সরকারের। সিএএ কার্যকর হয়নি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই ফের উঠেছে সিএএ রব। এই আবহে রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বাংলা সহ গোটা দেশে সিএএ কার্যকর হবে। (আরও পড়ুন: তৈরি CAA-র ধারা, কার্যকর হবে লোকসভা ভোটের আগে, অনলাইনে করা যাবে আবেদౠন)
আরও পড়ুন: ১৫ মাস দিল্লিতে নেই চিনের কোনও রাষ্ট্রদূཧত, অবশেষে একজনকে পাঠাবে বেজিং, কে সে?
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের এক জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'ইতিমধ্যেই রামমন্দির উদ্ঘাটন হয়েছে। আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতবর্ষে সিএএ কার্যকর হবে। আজ এই মঞ্চ থ✅েকে এই গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। পশ্চিমবঙ্গ সহ প্রত্যেকটা রাজ্যে সিএএ কার্যকর হবে। আপনারা সেটা দেখতে পাবেন। যাঁরা ১৯৭১ সালের পরে ভারতবর্ষে এসেছেন... এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আপনাদের ভোটার কার্ড থাকলে, আধার থাকলে আপনারা নাগরিক। আপনি ভোট দিতে পারছেন, আপনি ভোট দেওয়ার নাগরিক। কিন্তু এখানে শুনেছি কয়েক হাজার মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, ক𒅌েন এই মানুষদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল। এরা সকলে মতুয়া সম্প্রদায়ের। এরা ভারতীয় জনা পার্টির সমর্থক। তাই এদের ভোটার কার্ড করে দেওয়া হবে না।'
আরও পড়ুন: নেই মমতা, বাংলায় রাহুলের ন্যায় যাত্রার সঙ্গী এবার ক্যা𝓡প্টেন মীনাক্ষী
এরপর শান্তনু আরও বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কেন বলছেন যে যারা এসেছে, তারাই নাগরিক। নাগরিক যদি হয়, তাহলে পাসপোর্টের যাচাইকরণের জন্য যখন ডিআইবি-র কাছে যাওয়া হচ্ছে, ডিআইবি কেন ১৯৭১ সালের আগের দলিল চাইছ𓄧ে? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। আমাদের তো ভোটারকার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড দেখেই পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করা উচিত। এই সব রাজ্য সরকার রাজনীতির জন্য করছে। তবে যারা ১৯৭১ সালের পরে এসেছে, তাদের আমাদের নাগরিকত্ব প্রয়োজন। কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। যাতে তাদের কোনওদিন রোহিঙ্গাদের মতো বেরিয়ে না যেতে হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকর করবে। এরপরে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা থাকবে না যে আমাদের দেশ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেবে। এই কারণে সিএএ জরুরি। এবং আগামী এক সপ্তাহে তা হয়ে যাবে।'