খুব তাড়াতাড়ি গোটা দেশে লাগু হবে CAA। কেউ রুখতে পারবে না। রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে এক জনসভা থেকে এমনই ঘোষণা করলেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। নিশীথের ঘোষণাকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে বিরোধীরা।শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুনরগরে ছিল বিজেপির সভা। CAA-র সমর্থনে সেই সভায় হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় হাজির থাকার কথা ছিল নিশীথ প্রামাণিকেরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে সভায় দেখা যয়নি। বদলে রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহারে CAA লাগু নিয়ে হুঙ্কার দেন তিনি।রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের পাড়াডুবিতে বিজেপির এক দলীয় সভায় নিশীথ বলেন, ‘ভারত সরকার সমস্ত সনাতনীদের জন্য, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধদের জন্য, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশ থেকে যারা অবহেলিত – অপমানিত হয়েছে, যারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই আইন নিয়ে এসেছে। এই আইন পাশ করেছে। কারও নাগরিকত্ব হরণ করার জন্য নয়। আপনাদের সামনে দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, খুব কম সময়ের মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হতে চলেছে’।CAA লাগু নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোদী সরকারের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩ কোটি নমঃসূদ্র সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠই বাংলাদেশি উদ্বাস্তু। দশকের পর দশক ভারতের নাগরিকত্বের অপেক্ষয় রয়েছেন তাঁরা। ২০১৯ সালে CAA পাশ হওয়ার পর সেই অপেক্ষা অধীর হয়েছে। কিন্তু নাগরিকত্ব এখনো হাতে পাননি তাঁরা।