খোঁজ চলছিল অনেক দিন ধরেই। সিবিআই ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বাংলায় ওই চাঁইকে ধরার জন্য। অবশেষে এসেছে সাফল্য। কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীতে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়। এ🅺ই দুর্নীতির অন্যতম চাঁইকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই গ্রেফতার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে বড় সাফল্য। ধৃতের নাম মহেশকুমার চৌধুরী। এই ব্যক্তি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সেপাই পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিয়োগ দুꦡর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর ডিপোয় কর্মরত থাকা অবস্থায় এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল মহেশকুমার বলে অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আধা সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দু🤡র্নীতির ক্ষেত্রে মহেশই এই চক্রের মূল চাঁই। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই মহেশই ভুয়ো ডোমিসাইল সার্ট🔯িফিকেট তৈরি করে দেওয়ার চক্রকে পরিচালনা করত বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে কিছু তথ্যপ্রমাণ হাতে পেয়েছে তদন্তকারীরা। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত করছিল সিবিআই। অবশেষে মহেশকুমার চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, শনিবার অভিযুক্তকে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্তকারীরা। বিচারক অভিযুক্তের পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের নাম জানতে চাইছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: কারাগার আধুনিকীকরণে বিশেষ জোর, বাজেটে ৩০০ কোটি টাকার প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
সিএপিএফ বাহিনীর অন্দরে নিয়োগ দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০২১ এবং ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়। যা কেউ বুঝতেই পারেনি বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নেমে সিবিআই বুঝতে পারে সরষের মধ্যেই ভূত। তখন দু’জনকে চিহ্নিত করা হয়। তারপর অজ্ঞাতপরিচয় কজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই। চিহ্নিত দুই অভিযুক্তের মধ্যে একজন মহেশকুমার। এই মহেশ দালালের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদ🐈ের থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নিয়েছিল বলে তথ্য পায় সিবিআই।
এই মহেশকুমার চৌধুরী নিয়োগ দুর্নীতির কাজ অনেকদিন ধরেই করছিল। যার কেউ টের পাচ্ছিল না। একটি মামলা হওয়াতেই রহস্যের জট খুলতে থাকে। ২০২১ এবং ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীতে (সিএপিএফ) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন। তখন তা দেখে মহেশকুমার চৌধুরী ওই দু’বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন প্রার্থীর ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট বের করে। 🎀তারপর তা ব্যবহার করে নিয়োগ করিয়ে নেয়। বিনিময়ে মেলে মোটা অঙ্কের টাকা। যাঁরা অসৎ পথে♚ চাকরি পেয়েছেন তাঁরা বাংলার বাসিন্দা না হয়েও এখানকার বলেই দাবি করেন। যদিও সিবিআই সবটাই ধরতে পেরেছে। এখনও এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।