একদিকে গরু–কয়লা পাচারের কিংপিন বিনয় মিশ্রকে দেশে ফেরাতে আবার তৎপর হল সিবিআই। অন্যদিকে শনিবার, আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে আসেন সিবিআইয়ের কলকাতার অ্যান্টি কোরাপশন๊ ব্রাঞ্চের প্রধান এসপি রাজীব কুমার মিশ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গরু পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। তারপর সেখানে এসে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে দেশে ফেরানোর আর্জি সংক্রান্ত একটি হলফনামা বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে পেশ করেন সুশান্তবাবু। তাতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেন বিচার💃ক।
আর কী জানা যাচ্ছে? আদালত সূত্রে খবর, অনুমোদন পেয়ে যাওয়া এই হলফনামা বিদেশ মন্ত্রকের কাছে পাঠাবে সিবিআই বলে সূত্রের খবর। কারণ এখন দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিক বিনয় ইংল্যান্ডে রয়েছেন ꩲবলে ꧃খবর। সেখান থেকে তাঁকে ফেরাতেই এই তৎপরতা সিবিআইয়ের। কিন্তু বাস্তবে সিবিআই কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে নানা কাঠখড় পুড়িয়েও এখনও আর্থিক তছরূপে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরাতে পারেনি সিবিআই।
অনুব্রতকে কেন জেরা করা হল? দু’দিন আগে ইডি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে এসে গ্রেফতার করেছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার বিকেলে💛🐽 ৫টা নাগাদ দুই তদন্তকারী অফিসার আসানসোল সংশোধনাগারে আসেন। তারপরেই সংশোধনাগারের ভিতর থেকে সুপারের রুমে আনা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে আধঘন্টা জেরা করা হয়। সূত্রের খবর, গরু পাচারের তদন্তে একাধিক সার্চ ওয়ারেন্ট ইস্যু করিয়েছে সিবিআই। তা নিয়েই অনুব্রতকে এদিন😼 জেরা করা হয়। তদন্তে এবার আরও গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিনয়কে ফেরাতে কেন তৎপর সিবিআই? জানা গিয়েছে, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের একটা যোগ পেয়েছে সিবিআই। সিবিআই কর্তা রাজীব কুমার বিশেষ আদালতে আসামাত্রই শিল্পাঞ্চলের 🎃শোরগোল পড়ে। যদিও পুরো বিষয়টি সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। বিচারকের কাছে যখন হলফনামা পেশ করা হয়, সেখানেও উপস্থিত ছিলেন রাজীব কুমার। তবে আগেও বিনয় মিশ্রকে সৌদি থেকে প্রত্যার্পণের জন্য আঁটঘাঁট বেঁধেছিল সিবিআই। যদিও তা সফল হয়নিﷺ।