বগটুইকাণ্ডে সিবিআই আধিকারিকরা তদন্তের যত গভীরে প্রবেশ করছেন ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারছেন। তাতে পুলিশের নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে বলেই সিবিআই সূত্রের খবর। আর এই নিষ্ক্রিয় থাকার পিছনে রাꦿজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে বলেই মনে করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
রামপুরহাটকাণ্ডে তদন্তভার পাওয়ার পরেই পুলিশ সহ একাধিক আধিকারিক এবং প্রভাবশালীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত𓄧কারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরে পুꦦলিশ কর্তারা রামপুরহাটে আসার পরেও ঘটনাস্থলে যাননি। শুধুমাত্র থানার আইসিকে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে একটি মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা। বগটুইয়ে ঘরবাড়ি জ্বলার সময় বীরভূম জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একটি অতিথিশালায় বৈঠক করে চলে গিয়েছিলেন। তারা আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরেও এলাকা পরিদর্শন করেননি। এমনকি এসডিপিও’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়নি। রামপুরহাট থানার আইসি এবং এসডিপিওকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভাদু শেখ ꦯখুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের ধরতে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়েছিল এসডিপিও’কে। সাধারণত এসডিপিওর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ থাকে। ফলে যখন বাড়িঘর পোড়ানোর জ⛦ন্য পেট্রোল বোমা ছোড়া হচ্ছিল সেই খবর পাওয়ার পর যদি সঙ্গে সঙ্গে এসডিপিওকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হতো তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। তাহলে কেন তাকে পাঠানো হয়নি তা ভাবাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকদের। অন্যদিকে, ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন জানিয়েছেন একজন নেতাকে তিনি অগ্নিকাণ্ডের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাতে তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি বলেই তিনি ঘটনাস্থলে যাননি।