রিষড়ার পর হাওড়াতেও আটকে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে। ফলে রিষড়াতেও যেমন তাঁরা কিছু করে উঠতে পারেননি। তেমনি হাওড়াতেও তর্ক–বিতর্কই সাꦐর হল। আজ, রবিবার হাওড়ার রামনবমীর দিনে অশান্তির ঘটনার সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ফ্যাট ফাইন্ডিং দলকে আটকে দেওয়া হল দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল ট্যাক্সে। আর তখনই 🅺বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। এখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় প্রতিনিধি দলকে বাধা দেয় পুলিশ। রবিবার এই দলের মূল উদ্দেশ্য ছিল হাওড়ার সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থলে যাওয়া।
আর তারপর সেখানে বসবাসকারী আহতদের সঙ্গဣে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাওড়া পুলিশ এই ফ্যাꦯক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সেখানে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এই এলাকায় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ছ’জন সদস্যরা সংশ্লিষ্ট স্থানে যেতে পারবে না। তবে ঘটনাস্থলে যেতে চেয়ে ওই প্রতিনিধি দল বারবার পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। কারণ এই সিদ্ধান্তে অনড় পুলিশ অফিসাররা। রিষড়াতে যেতে প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্যপালের রিপোর্টে কি ভরসা করতে পারেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
ঠিক কী বক্তব্য প্রতিনিধিদলের? এদিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘গতকাল পুলিশ আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে﷽ছিল। সেখানে লেখা ছিল গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে বিবেচ্য। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা পাল্টা জানাই, আমাদের টিম ওই এলাকায় কোনও অপরাধের তদন্ত করতে যাচ্ছে না। শুধু এলাকা পরিদর্শন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যাঁরা আক্রান্ত তাঁরাও পুনরায় আত্মবিশ্বাস ফেরত পাবেন এবং বুঝবেন যে গোটা ঘটনার সঠিক বিচার হবে।’ কিন্তু আজ বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান তাঁরা।
কেমন বাদানুবাদে জড়ান তাঁরা? গাড়ি আটকে দেওয়ার পর এই দলের এক সদস্য পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন আমরা যেতে পারব না?’ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনও প্রতিনিধি দলকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তখন তাঁরা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আজ তো দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেই গাড়ি আটকে দিল। আর তার জেরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। বাংলার সরকার কি নিজেদের জনগণের জন্য কিছু ভাবে না? আমরা চেষ্টা করছি যে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলার।’ নয়াদিল্লি থেকে রাজ্🐻যে এসেছেন ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশনের’ সদস্যরা।