প্রথা মেনে অক্ষয় তৃতীয়ায় হুগলির মাহেশে পালিত হল জগন্নাথের চন্দনযাত্রা। এদিন জগন্নাথের বিগ্রহের কপালে চন্দন লেপন করেন সেবায়েতরা। এবছর ৫২৭ বছরে পড়ল এই উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে এদিন মন্দিরে ভক্তসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। পুরীতে আজ থেকেই শুরু হল জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথ নির্মাণের কাজ।মাহেশ মন্দিরের প্রধান সেবক পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, ‘প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে স্বপ্নাদেশে তাঁর মাথায় চন্দন লেপন করতে বলেছিলেন জগন্নাথ দেব। আদেশ অনুসারে রাজা ৪২ দিন ধরে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লেপন করেন। সেই থেকে চলে আসছে এই প্রথা। কিন্তু ৪২ দিন টানা চন্দন লেপে জগন্নাথ দেবের মাথা ধরে যায়। তার পর তিনি রাজাকে স্বপ্নাদেশে স্নান করানোর নির্দেশ দেন। রাজা বিগ্রহকে স্নান করালে তাঁর জ্বর আসে। এর পর মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ করে জগন্নাথ দেব বিশ্রাম নেন। কবিরাজের পাচন খেয়ে তাঁর জ্বর সারলে ভাই বোনকে সঙ্গে নিয়ে রথযাত্রা করে মাসির বাড়ি যান তিনি।আপাতত ৪২ দিন রোজ জগন্নাথদেবের মাথায় চন্দন লেপন চলবে। তার পর হবে স্নানযাত্রা। গঙ্গা জল আর দেড় মন দুধ দিয়ে বিগ্রহকে স্নান করানো হবে। আগামী ২০ জুন পালিত হবে মাহেশের ৬২৭তম রথযাত্রা।