স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল হুগলিতে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিল এলাকা। দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর, ইট বৃষ্টি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থꦉলে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। কার্যত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। ঘটনার পরেই পুলিশ বেশ কয়েকজনক♔ে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: একই বুথে টিকিট পাওয়া নিয়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠী🌜র মধ্যে সংঘরꦆ্ষ, আহত ২
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হুগলির একটি বেসরকারি স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠা𒅌ন ছিল। সে অনুষ্ঠানের মধ্যেই জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে গুজব ছড়ায়। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে দুই পক্ষ। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয𒆙়ে ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। একটি ভ্যান রিকশায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। হুগলি জেলার হেড-কোয়ার্টার থেকে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ সেখানে মোতায়েন করা হয় সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। এর পা🐓শাপাশি স্থানীয় স্টেশনেও ব্যান্ডেল–কাটোয🦹়া শাখার ট্রেন বেশ কিছুক্ষণ ধরে বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার জেরে এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেন আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। অবশেষে পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আপাতত ওই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘আমꦗরা খবর পেয়ে ওই এলাকায় অশান্তি চলছে। খবর পেয়ে হেড-কোয়ার্টার থেকে পুলিশ বাহিনী পাঠায়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেসব দোকানপাট বন্ধ ছিল সেগুলি ধীরে-ধীরে খুলে যাচ্ছে। আমরা উচ্চ পদস্থ পুলিশে আধিকারিকরা এখানে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালাচ্ছি। আপাতত কয়েকদিন এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো থাকবে। আশা করছি এরপরে এখানে কোনও সমস্যা হবে না। যাত্রীদের এবং ট্রেনের সুরক্ষার জন্য আপাতত ট্রেন বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এখন ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে।’