সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদ জেলাতে দলবদল জারি রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লক তেঘরি বড়শিমু অঞ্চল থেকে বহু তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মুর্শিদাবাদ এখন ভাঙনের সাক্ষী। সেটা রাজনৈতিক হোক বা গঙ্গা–ভাঙন। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা সামশেরগঞ্জ এলাকা মূলত গঙ্গা–ভাঙন কবলিত এলাকা। তাই আজ, শুক্রবার🧸ই সেই ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে গঙ্গা–ভাঙনের জেরে বিঘার পর বিঘা জমি তলিয়ে যাচ্ছে গঙ্গাবক্ষে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদায় তিনি একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে গঙ্গা–ভাঙন কেমন করে রোখা যায় তা নিয়ে প্রথমে সকলের কাছে পরামর্শ চান। তারপরে নিজেই গঙ্🧜গা–ভাঙন রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার কথা বলেন। আবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই নিয়ে কোনও সহায়তা না করার অভিযোগও তোলেন। বর্ষার আগে গঙ্গার পার বাঁধাতে এবং নিক﷽াশি ব্যবস্থা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় গঙ্গা–ভাঙন রু𝕴খতে প♋ঞ্চায়েত দফতর, সেচ দফতর এবং পরিবেশ দফতরকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গঙ্গার পাড় বাঁধাতে রাজ্য সরকার ১ 🐻হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবেশ দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভাঙন প্রবণ এলাকায় ম্যানগ্রোভ জাতীয় চারা রোপনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্ষা আসতে দেরি নেই। তাই দ্রুত যাতে কাজ সম্পন্ন করা যায় তার জন্য তৎপর হতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।