সদ্য খুন হয়েছে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। কিন্তু এই 🍰খুনের নেপথ্যে রয়েছে বড় পরিকল্পনা। যা এবার হাতে পেল পুলিশ। কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাক📖ে খুনের ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল ভিন রাজ্যের শার্প শ্যুটার গ্যাংকে। এই তথ্য পেয়ে পুলিশ নিজেদের সোর্স কাজে লাগাতে শুরু করে। তখনই টাকার অঙ্কটা জেনে মাথা ঘুরে যায় পুলিশ কর্তাদের। কারণ টাকার অঙ্ক—এক কোটি। তবে এখানেই শেষ নয়, ‘সুপারি’র অগ্রিম বাবদও পাঠানো হয় বড় অঙ্কের টাকা। সেটাও ২৫ লক্ষ টাকার কম নয় বলেই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ঠিক𝓡 কী তথ্য পেয়েছে? তদন্তে নেমে একাধিক লোকজনকে জেরা এবং আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ, রাজুর বিরোধী গোষ্ঠীর এক কয়লা মাফিয়া সেই অগ্রিম টাকা দিয়েছিল। তবে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সুপারি কিলার এই গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল দুর্গাপুরের এক ব্যক্তি। রাজুকে খুনের জন্য রেট ঠিক হয় কোটিতে। মোবাইল ফোনের ‘টাওয়ার ডাম্প’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিন রাজ্যের সুপারি কিলারদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে ঝাড়খণ্ড রওনা দিয়েছে পুলিশের টিম।
কেমন করে খুন করা হয় রাজুকে? পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকসার কাছে দু’টি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল রাজুরꦇ খুনিরা। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই জায়গাতেই বিকেল ৫টা নাগাদ কয়েকটি নম্বর থেকে ঘন ঘন ফোন আসে। আর সেগুলি ‘রিসিভ’ করে সুপারি কিলাররা। তার মধ্যে একটি নম্বর শার্প শ্যুটার গ্যাংয়ের সদস্যের। দুর্গাপুর থেকেই সে ফোন করেছিল। তখনই দুর্গাপুর থেকে রওনা দেন রাজু ঝা এবং আবদুল লতিফ। এই খবর সুপারি কিলারদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল রাজুর গাড়িতে থাকা কোনও সঙ্গী। রাজু কাঁকসায় পৌঁছতেই দু’টি গাড়ি করে সুপারি কিলাররা পিছু নেয়। সুপারি কিলাররা আগে থেকেই ঘটনাস্থল রেইকি করেছিল। রাজুর গাড়ি যে🅺 শক্তিগড়ে থামবেই সেটা নিশ্চিত ছিল খুনিরা।