কোচবিহার জেলায় বদল হয়েছেন একাধিক পুলিশ সুপার। নানা সময়ে এটা ঘটেছে। আর এখানেই মাদক মামলায় দুই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে পা🧔রেনি কোচবিহার পুলিশ বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে আদালত একাধিকবার দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু তারপরও সেটা কার্যকর করা যায়নি। তা নিয়েও নানা সময় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে পুলিশকে। এই আবহে মামলার কেস ডায়েরি উধাও হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর এই হারিয়ে যাওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, অভিযুক্তকে আশ্রয়, অভিযুক্তের কাছ থেকে ঘুষের বিনিময়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের পাশাপাশি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা। এদিকে রাজ্যে একাধিক দুর্নী🅺তির মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। যেখানে রাজ্য পুলিশ অপরাধের সূত্র খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে আদা🧔লত। কিন্তু কোনও মামলার কেস ডায়েরি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। খোদ পুলিশের হেফাজত থেকে কেস ডায়েরি উধাও নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এমন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুব একটা নেই।
অন্যদিকে এই মামলার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। কোতোয়ালি থানায় মাদক পাচার প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ দায়ের হয় রমেশ আগরওয়াল ও পবন আগরওয়াল দু’জনের বিরুদ্ধে। কোচবিহারের এনডিপিএস আদালত ২০১৫ সালে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে মামলাটির শুনানির দিন পর্যন্ত সেই নির্দেশ কার্যকরই করা হয়নি বলে অভিযোগ। তবে শুনানির সময়ই আবার নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। যদিও তা𒈔তে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিস সুপার থেকে শুরু করে দার্জিলিং রেঞ্জের ডিআইজি’র উদ্দেশে আদালত নানা নির্দেশও দিয়েছে। যদিও তারপরেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যায়নি। যা নিয়ে ফুঁসছেন মানুষজন।
আরও পড়ুন: দিঘা–মন্দারমনি–তাজপুরে ღহোটেল বুকিংয়ের নিয়মে বদল আসছে, কড়া পুলিশ﷽ের পদক্ষেপ
আর এমন পরিস্থিতিতে কেস ডায়েরিই মিসিং হয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়। ২০১৫ সালে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। ২০১৬ সালেত সেই আবেদন খারিজ হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসে মামলাটি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওঠে। কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে আদালত নির্দেশ দেয় গ্রেফতারির নির্দেশ কার্যকর করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। কিন্তু মামলার কেস ডায়েরি জমা দিতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সুপার এই মামলার তদন্তকারী অফিসার উত্তম শর্মা ও কনস্টেবল দীপঙ্কর দাসকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান। আর অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছেও জানান। কিন্তু তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালেও দুই অভিযুক্ত মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স♌েই আবেদনও খারিজ হয়।