‘অধীর কাঁটা’ অতীত হতেই সংসদে দেখা গেল, হাতে হাত মিলিয়ে সোচ্চার হল কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই বাংলার মালদা জেলায় একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ল কংগ্রেস–তৃণমূল। এই জোট লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় হলে বিজেপির আসন আরও কমে যেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার দেখা গেল, কংগ্রেস–তৃণমূল জোট বেঁধে হারিয়ে দিল বাম প্রার্থীদের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তো কংগ্রেস–তৃণমূল কংগ্রেস আছেই। তা হলে কংগ্রেসের সঙ্গে এখানে অসুবিধা কোথায়? আর এই বিষয়টি🐼 সংবাদমাধ্যমে চলে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে সিপিএম নেতৃত্বের।
বাংলায় কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট হয়নি স্রেফ অধীর চৌধুরীর জন্য বলে অভিযোগ। তাতে আখেরে ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেসেরই। আবার মালদার উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামের এসকেইউএস সমবায় সমিতিতে অনেকদিন নির্বাচন হয়নি। আ♉র এখানে যাতে নির্বাচন হয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। আদালতের নির্দেশে রবিবার মানিকচক ব্লকের সমবায় সমিতিতে নির্বাচন হয়। এই সমবায় সমিতিতে মোট ৬টি আসন আছে। এখানে নির্বাচনে অংশ নেন মোট ১৩ জন প্রার্থী। নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে চারটি আসনে প্রার্থী দেয় ঘাসফুল শিবির। আর কংগ্রেস প্রার্থী দেয় দু’টিতে। সেখানে বামফ্রন্ট পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেয় এককভাবে। আর একটি আসনে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী📖র কড়া বার্তার পরই অ্যাকশনে পুলিশ, হাতিবাগান–সল্টলেকে তড়িঘড়ি সাফ রাস্তা
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন পায়। বিজেপি সেখানে পায় ১২টি আসন। কংগ্রেস একটি আসন পায় এবং বামেরা শূন্য পেল। এই ফলাফলের পরই টনক নড়ে স্থানীয় স্তরে। তাই মালদার সমবায় সমিতিতে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল কংগ্রেস–তৃণমূল। আর ভোটের ফলপ্রকাশꦜ হতেই দেখা গেল, ৬টি আসনেই জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস–তৃণমূল জোট প্রার্থীরা। এই পরাজয় নিয়ে এলাকার বামফ্রন্টের নেতা দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে সমবায় নির্বাচন হয় না। শেয়ার হোল্ডাররা এই নির্বাচনে অংশ🍨 নেন। এতে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের যে জোট তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না।’